বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার দল। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে জয়লাভ করে ভারত কিন্তু টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটা কতটা সঠিক হতে চলেছে সেটা খুব একটা বড় প্রশ্ন ছিল না কারণ দেখে খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল যে এই পিচে প্রথমে ব্যাট করা খুব কঠিন হবে। আর সেটাই হওয়ায় ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া তিনটি উইকেট বেশ তাড়াতাড়ি নিয়ে ফেলে কিন্তু তারপরে লড়াই শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার মিডিল অর্ডার।
ডেভিড ওয়ার্নার প্রথমে ভালো শুরু করেছিলেন এই ম্যাচে তবে তাকে ফিরে যেতে হয়, আর তারপরে পুরো ম্যাচটিকে নিজের মতো করে চালাচ্ছেন ট্রাভেস হেড, যিনি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। তার অনবদ্য ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে এই ম্যাচে চালকের আসনে পৌঁছে দেয় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল খুব ভালো স্ট্রাইক রেটের সাথে তিনি এই রান করেছেন এবং মাত্র ১০৬ বলে তিনি তার এই সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেছেন। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সামনে ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো দিশেহারা মনে হচ্ছিল। আর এই সেঞ্চুরি দিয়ে তিনি এক বিশ্ব রেকর্ড পর্যন্ত গড়লেন।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এটা দ্বিতীয় বছর এবং প্রথম বছরের পর দ্বিতীয় বছরেও ভারতীয় দল ফাইনালে উঠেছে, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের গত বছরের বিশ্ব দেশ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোন সেঞ্চুরি আসেনি অর্থাৎ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখনো পর্যন্ত কোনো সেঞ্চুরি নেই, আর প্রথম সেঞ্চুরিটি করলেন অস্ট্রেলিয়া ট্রাভেস হেড। তার লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা।
৬২ বল খেলে কোনরকম দাঁড়িয়ে থেকে মাত্র 26 রান করে শামির শিকার হয়েছেন লাভুসেন, পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া দলের এই ম্যাচে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোমর ভেঙে দিলেন শার্দুল ঠাকুর। লাগাতার তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাকফুটে অস্ট্রেলিয়া দল।
দলীয় ৭১ রানের মাথায় ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যান প্যাভিলিয়নে আবার দলীয় রানের সাথে আর মাত্র পাঁচটি রান যুক্ত হতে না হতেই 76 রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের ফিরেছেন লাভুসেন এরকম সময় ব্যাট করতে নামেন স্টিভ স্মিথ এবং ট্রেভিস হেড।