৫ ছক্কা খাওয়া বোলারকে হোটেলে ফিরেই বিশেষ বার্তা দিয়ে যা বলেন রিঙ্কু সিং,স্যালুট নেটিজেনদের

ঐতিহাসিক একটি ক্রিকেট ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ক্রিকেটের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোন ব্যাটসম্যান পাঁচটি বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করতে পারেননি। গতবছরের আইপিএলে রিঙ্কু সিং ২১ রানের তারা করতে নেমেছিলেন শেষ ওভারে তবে পঞ্চম বলে তাকে আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় এবং কলকাতা সেই ম্যাচে 2 রানে পরাজিত হয়। ম্যাচ শেষে রিঙ্কু সিং সেই দিনের কথাটিও সামনে এনেছেন যে তিনি কতটা চেষ্টা করেছিলেন সেদিন দলকে জেতানোর জন্য, তবে দলকে জিতিয়ে রবিবার রাতে রিঙ্কু সিং যখন ডাগ আউটের দিকে দৌড়চ্ছিলেন, তখন হেড ব্যান্ডে চোখ ঢেকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছিলেন যশ দয়াল।

পাঁচ ছক্কা মারা বোলারের দিকে ফিরেও তাকাননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটার। তা বলে রঞ্জি দলের সতীর্থের কথা ভুলেও যাননি তিনি।সারা বছর এক সঙ্গেই ক্রিকেট খেলেন রিঙ্কু এবং যশ। আইপিএলে তাঁরা দু’শিবিরে। মাঠের লড়াইয়ে জায়গা না ছাড়লেও যশের পাশেই দাঁড়িয়েছেন রিঙ্কু। হোটেলে ফিরে রিঙ্কু মেসেজ করেন গুজরাত টাইটান্সের জোরে বোলারকে। যশকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজেই জানিয়েছেন রিঙ্কু।রিঙ্কুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যশকে কি সান্ত্বনা দিয়েছেন?

```

কেকেআরের জয়ের নায়ক বলেছেন, ‘‘খেলা শেষ হওয়ার পর আমি যশকে মেসেজ করেছি। ওকে বলেছি, ‘ক্রিকেটে এমন মাঝে মাঝে হয়। গত বছর আইপিএলে তুই সত্যিই ভাল বল করেছিলি।’ যশকে একটু উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি বলতে পারেন।’’রিঙ্কু এবং যশ দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুমে একই সাজঘর ভাগ করে নেন। আইপিএল তাঁদের বন্ধুত্বে আঁচড় কাটতে পারেনি। পর পর পাঁচটি বলে ছক্কা মেরে উৎসবে মাতলেও রিঙ্কু তাই ভোলেননি রাজ্য দলের বন্ধুর কথা।

ক্রিকেটার হিসাবে অনুভব করতে পেরেছেন ম্যাচ শেষে যশের মনের অবস্থা।উৎসবের আবহেও রিঙ্কু ভোলেননি তাঁর কথা। জয়ের উচ্ছ্বাসের প্রাথমিক পর্ব সামলেই যশকে মেসেজ করেন। তাঁকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। এমন ঘটনা রোজ হয় না বলে বন্ধুর আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টাও করেছেন কেকেআরের ব্যাটার।

```

সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দুর্বল দল মনে হলেও খেলার ময়দানে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে কারো থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই সেটাই বারবার প্রমাণ করছে রিঙ্কু সিং, শার্দুল ঠাকুর, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা।