ভালো পোশাক,বিরাট স্টাইল,এত ছেলে এক ছাদের তলায় যা করছিল!পুলিশ যেতেই রহস্য ফাঁস

তথ্যপ্রযুক্তি নগরী সল্টলেক। গলিতে গলিতে শুধুই আইটি অফিস। বিভিন্নরকম কাজ হয় সেসব দফতর থেকে। দেশ-বিদেশের কোটি কোটি টাকার কাজকর্ম। নামকরা সব সংস্থার অফিস। তবে এর আড়ালে এমনও অনেক কিছু রয়েছে যেগুলোতে এমন কিছু কাজকর্ম হয়ে থাকে যেগুলো ভীষণভাবে অনৈতিক। এরকম একটি পর্দা ফাঁস হলো।

এই সল্টলেক এলাকাতেই বহু সংস্থা চলে যেগুলি শুধু ভুয়োই নয়, বড়সড় প্রতারণার আঁতুড় ঘরও বটে। বিশেষ করে এরকম বহু কলসেন্টার সল্টলেকে রয়েছে, যেখান থেকে প্রতারণার জাল বিছানো হয় বলেই অভিযোগ। এরকমই এক আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুক্রবার।পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি বহুতলে ভুয়ো কল সেন্টার খুলেছিল এক সংস্থা। তাদের প্রতারণার পদ্ধতি দেখলে অবাক হতে হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে অন্য একটি সংস্থার কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট ও টেক সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হত। মূলত বিদেশে এই ফোনগুলি করা হত। আর তারপরেই…

তার জন্য বিদেশি মুদ্রায় টাকা হাতিয়ে নিত এই চক্র। এরপরই সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে জহেব জুলকারনানি, মুদাসির আহমেদ, দেব কুমার-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের মূল পাণ্ডার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সাম্প্রতিককালে একের পর এক ভুয়ো কল সেন্টারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে কলকাতা শহর ও আশেপাশের এলাকা থেকে।

কখনও মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা, আবার কখনও প্রযুক্তিগত সহায়তার নাম করে প্রতারণা। রীতিমতো কর্পোরেট কায়দায় তিন শিফটে কাজ চলার মতো ঘটনাও সাম্প্রতিক কালে প্রকাশ্যে এসেছে।