১৬০ কিমি বেগে বল করার জন্য লরিকে পিঠে দড়ি দিয়ে বেঁধে ৮কিমি টেনেছি: শোয়েব আখতার

পাকিস্তানের ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন পেস বোলার শোয়েব আক্তার যিনি মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। বীরেন্দ্র শেবাগ এর সঙ্গে যার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। এবার তিনি এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন যে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে হাসির খোরাক হতে হচ্ছে তাকে। বর্তমানে আইপিএল 2022 চলছে আর এই বছরের আইপিএলের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো উমরান মালিক। তাকে নিয়ে চর্চা যেন আর শেষ হচ্ছে না, আর তাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শোয়েব আক্তারকেও। তিনি বলেন আমি উমরান মালিক এর জন্য আমি খুশি তবে আমি অনেক বেশি চিন্তিত যে সে কিভাবে নিজেকে ফিট রাখবে কারণ চোট যাওয়াটা ভীষণ চান্স থাকে এত গতিতে বল করলে। তখনো পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু তারপর..

শোয়েব আক্তার কি জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি কীভাবে এত গতিতে বল করতেন। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শোয়েব আক্তার জানান যে তিনি পিছে দড়ি বেঁধে 4-5 মাইল দূরত্ব পর্যন্ত লরি টানতেন। তিনি বলেন প্রথমে যখন আমি বল করতে শুরু করি তখন আমার বলের গতি ছিল 140 থেকে 145 কিলোমিটার এর মধ্যে। কিন্তু আমি তারপর অনেক ট্রেনিং করি এবং আমার গতি আমি 150 পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু আমি এতে খুশি ছিলাম না আমি আরো গতিতে বল করতে চাইছিলাম। সেই জন্য প্রথমে পিঠে আমি টায়ার বেধে দৌড়ানোর প্র্যাকটিস করতাম কিন্তু আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম যে সেটা খুবই হালকা আর তারপর…

```

ছোটখাটো গাড়ি পিঠে বেঁধে আমি সেগুলো টানতাম, আবার তাদের সাথে দৌড়ের প্র্যাকটিসও করতাম, কিন্তু ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারলাম যে আমি আরো বেশী ওজনের কিছু টানতে পারবো আর তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পিঠে আমি ট্রাক বেঁধে টানবো। আর তারপরে শোয়েব আক্তার দাবি করেন যে এর ফলে নাকি তার গতি 160 পর্যন্ত পৌঁছে যায়। 2003 সালের যে বিশ্বকাপে শোয়েব আক্তার এই গতি প্রদর্শন করেন সেখানে নাকি তার নিজের দলের প্লেয়াররা নেটে তাকে খেলতে ভয় পেত। যার মধ্যে আজহার মাহমুদ এর নাম তিনি করেছেন, তিনি আরো বলেন যে 161 কিমি বেগে যখন তিনি সবথেকে গতির বলটি করেন, তিনি ভীষণ খুশি ছিলেন কিন্তু তিনি তার থেকেও বেশি গতি করতে চাইছিলেন…সেটা করতে গিয়ে..

আজকের দিনে উমরান মালিক তার গতি আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছে ঠিক একইভাবে একটা সময় অতিরিক্ত গতি করতে গিয়ে শোয়েব আক্তার বুঝতে পারেন যে তাঁর শরীর এতটা পরিশ্রম নিতে পারছে না এবং তার শরীরে বিভিন্ন রকমের ইঞ্জুরি আসতে থাকছে। আর তারপরে নাকি তিনি 161এর বেশি গতি করার চেষ্টা করা বন্ধ করে দেন। জানিয়ে রাখি যে 2003 বিশ্বকাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন সেই বিশ্বকাপে ভারত ফাইনালে পৌঁছে ছিল। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সেই ফাইনাল ম্যাচ হয়েছিল এবং অস্ট্রেলিয়া অসাধারণ পারফরম্যান্স করে এবং ভারতকে পরাজিত করে।

```

জানিয়ে রাখি যে শোয়েব আক্তারের এই লরি কাঁধে বেধে টানার যে মন্তব্য সেটার জন্য তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে যথেষ্ট troll এর সম্মুখীন হতে হয়েছে। সাধারণত পিছনে গাড়ির টায়ার বেঁধে দৌড়ানোর প্র্যাকটিস অনেকেই করে থাকেন কিন্তু শোয়েব আক্তার যে কাঁধে দড়ি দিয়ে বিশাল বড় ট্রাক বেঁধে সেগুলিকে টানতেন এটা বিশ্বাস করতে চাইছেন না নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে যথেষ্ট খিল্লি হচ্ছে শোয়েব আক্তার কে নিয়ে।