অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নেমে পিঠে চোট পান শ্রেয়স আয়ার। সেই চোট কবে সারবে এবং তাঁকে কবে খেলতে দেখা যাবে সেই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক তিনি। শ্রেয়স খেলতে না পারলে সমস্যা বাড়বে কলকাতার।শ্রেয়সের পিঠের নীচের দিকে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। চতুর্থ টেস্ট চলাকালীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। স্ক্যান করানো হয়। সেই টেস্টে ব্যাট করতে পারেননি তিনি।
কিন্তু শ্রেয়সের চোট কতটা সেই নিয়ে অধীর আগ্রহে জানতে অপেক্ষা করছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভক্তরা। তবে তার চোট কতটা সেরেছে সেটা জানতে এখনও ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তাঁকে ১০ দিনের জন্য বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। তার পর জানা যাবে আদৌ আইপিএলে খেলতে পারবেন কি না। এখনই তাঁকে নিয়ে আশা ছাড়া হচ্ছে না।শ্রেয়সের চোট ছিল। সেটা সারিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলার পরেই আবার চোট পেলেন শ্রেয়স। অর্থাৎ পুনরায় নিজের চোট সারিয়ে তিনি যে ফিরতে পারেন তার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর জন্য এটি একটি সুখবর হতে চলেছে।
শ্রেয়স কে তার পুরনো চোটই তাঁকে ভোগাচ্ছে কি না তা যদিও জানানো হয়নি। মুম্বইয়ে শিরদাঁড়া বিশেষজ্ঞের কাছে যান শ্রেয়স। সেই চিকিৎসক ভারতীয় ব্যাটারকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই জানা যাবে শ্রেয়স কবে খেলতে পারবেন না।
আমদাবাদ টেস্টের পঞ্চম দিনে ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “এই টেস্টে আর খেলতে পারবেন না শ্রেয়স। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় শুরুর আগের দিন ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ জানান যে, সাদা বলের সিরিজ়ে খেলতে পারবেন না শ্রেয়স। আইপিএলে তিনি খেলতে না পারলে কেকেআর-কে নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কলকাতা।
একদিকে সে যেমন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অধিনায়ক পাশাপাশি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান তিনি। তাই তাকে ছাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্স মোটেও নামতে চাইবে না। অধিনায়ক হিসেবে ও তার যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে তার পরিচয় তিনি দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কের পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব শীঘ্রই জানা যাবে এবং তিনি যে আইপিএলে আবারো ফিরতে চলেছেন এরকম সম্ভাবনাই বেশি।