“মাঝে মাঝে জাতীয় দলে সুযোগ পাই”-যন্ত্রণার কাহিনি উগরে দিয়ে বি’স্ফোরক সঞ্জু স্যামসন !

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের নির্ধারক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেন সঞ্জু স্যামসন। এরপরেই ভারতীয় ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন বড় দাবি করে বসলেন। তাঁর মতে, একজন ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়া খুব চ্যালেঞ্জিং। কারণ আপনাকে বিভিন্ন অবস্থায় ব্যাট করতে হবে। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে ব্যাট করার ঘরোয়া দক্ষতা রয়েছে তার। ক্রিকেট অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় ম্যাচে তিন নম্বরে খেলে প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে বসেন স্যামসন। প্রথম উইকেটে ১৪৩ রানের চমৎকার জুটি ছিল ইশান কিষান ও শুভমন গিলের মধ্যে। এরপর তিন নম্বরে আসা রুতুরাজ গায়কোয়াড় কার্যকর প্রমাণিত হননি, কিন্তু এরপরে সঞ্জু স্যামসন অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেছেন।

সঞ্জুর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরে হার্দিক পান্ডিয়ার দ্রুত ইনিংসটি ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৫১ রান তুলতে ভারতকে সাহায্য করেছিল। এই রান তুলতে গিয়ে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ছিল ভারত।প্রথম ইনিংসের পর স্বাগতিক সম্প্রচারকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন বলেন, ‘মাঠে কিছু সময় কাটাতে পেরে খুশি লাগছে। দলের জন্য কিছু রান করতে পেরে এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরে সত্যিই দারুণ লাগছে। বিভিন্ন খেলোয়াড়ের জন্য আমার আলাদা পরিকল্পনা ছিল। আমার ফুটওয়ার্ক ব্যবহার করে বোলারদের লেংথ-এর উপর আধিপত্য করতে চেয়েছিলাম।’

অন্যদিকে, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়া একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় (বিভিন্ন ব্যাটিং পজিশনে খেলার জন্য মানিয়ে নেওয়ার কথা নিয়ে তিনি বলেন)। আমি গত ৮-৯ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় খেলেছি। ওয়ানডে এবং ঘরের মাঠে খেলেছি, তাই এটি আমাকে বিভিন্ন পজিশনে খেলার কিছু ধারণা দেয়। এটা ব্যাটিং পজিশন নয়, বরং কত ওভার খেলতে পারব তা নিয়ে ভাবায়। তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হয়।’

ত্রিনিদাদের পিচ এবং এখানকার পিচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ওটা (কেনসিংটন ওভালের পিচ) একটু স্যাঁতসেঁতে ছিল, কিন্তু এটার (পৃষ্ঠ) একটু শুষ্ক মনে হচ্ছে। নতুন বল ব্যাটে ভালোই আসছিল, কিন্তু বল পুরাতন হয়ে গেল, আসা বন্ধ হয়ে যায় এবং স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। এই স্কোর পাওয়া সহজ ছিল না, সেই স্কোর পাওয়ার কৃতিত্ব মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের।’

পাশাপাশি জানিয়ে রাখবো যে অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী চাইছেন যাতে সঞ্জু স্যামসান ভারতীয় দলে একটি পার্মানেন্ট জায়গা পায়। কিন্তু সেটা খুব একটা সহজ কাজ নয় কারণ কম্পিটিশন অনেক বেশি।