বন্ধুত্ব সবারই প্রয়োজন, তবে এই পাঁচ ‘বিষাক্ত’ বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন!

জীবনে বন্ধুর অবশ্যই প্রয়োজন। বন্ধুত্বের কোনও বয়স থাকে না। চলার পথে অনেক মানুষের সঙ্গেই আমাদের আলাপ হয়। এবার কারোর সঙ্গে সেই আলাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়, কারোর ক্ষেত্রে আবার হয় না। সেই আলাপ অনেক ক্ষেত্রেই বন্ধুত্বের দিকে গড়ায়। তবে বন্ধুত্বের মধ্যে কিন্তু দুমুখো সাপও থাকে। অর্থাৎ যাঁরা আপনার সামনে প্রশংসা করবে কিন্তু পরে নিন্দে করবে। শুধু তাই নয়, এঁরা কিন্তু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আপনাকে পিছন থেকে আঘাত করতেও ছাড়বে না। আর জীবনে এমন ঝামেলাবাজ বন্ধু থাকলে কিন্তু শান্তিটাই নষ্ট। বন্ধুর সংখ্যা অনেক থাকতে পারে কিন্তু আসল বন্ধু ক’জন? সেই কজন বন্ধুকে খুঁজে বের করা কিন্তু খুব জরুরি। এঁরাই আপনার সঙ্গে সারাজীবন থাকবে। বন্ধু মানেই যে আপনার ভালো চাইবেন এমন তো আর নয়, বরং বিষাক্ত বন্ধুদের আগেভাগেই বাদ দিয়ে দিন তালিকা থেকে। কী ভাবে বাছবেন এমন বন্ধুদের!

অকারণে টেক্সট করে জ্বালাতন- কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা অতিরিক্ত অ্যাটেনশন চান। নিজের সমস্যা নিয়ে সব সময় অন্যদের জ্বালাতন করেন। অন্যের কাজ, সময়ের কোনও মর্যাদাই দেন না। বরং এঁরা নিজের জন্য অন্যের কাজের ক্ষতি করতেও পিছপা হন না। এমন মানুষদের কিন্তু একদম পাত্তা দেবেন না।

```

কিছু মানুষ আছেন খুবই অবুঝ- কিছু বন্ধু আছেন যাঁরা হয়তো যেচে এমন ব্যবহার করেন কিংবা এমন কিছু কথা বলেন যা আপনার মোটেই ভালো লাগে না। এঁকা ভীষণ রকম অবুঝ হন এবং অন্যের ঘাড়ে চেপে বসতে খুবই পছন্দ করেন। আপনার কাজের ক্ষতি হচ্ছে দেখেও পিছপা হন না। এমন মানুষদের জীবন থেকে দূর করে দিন।অপমান করে কথা বলে- বন্ধুদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সব সময় অন্যদের অপমান করতে ভালোবাসেন। অন্যদের অপমান করে তাঁদের অদ্ভুত একটা আনন্দ হয়। শুধু তাই নয়, সকলের সামনে আপনাকে ছোট করাটাই কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য। আপনার মনোবল ভেঙে দিতে এরা কিন্তু সিদ্ধহস্ত।

সব সময় গসিপ করে- মুখে একরকম আর বাইরে আর একরকম এই রকম মানুষরা কিন্তু ভীষণ বিষাক্ত। মুখ মিষ্টি হলেই তাদের একেবারে আপন করে নেবেন না। কারণ মানুষ আজকাল কারোর প্রশংসা করেন না। আর যদি কখনও প্রশংসা করেন তাহলে ধরে নেবেন সেখানে কোনও উদ্দেশ্য আছে। এরকম মানুষদের কিন্তু একেবারেই বিশ্বাস করবেন না। এঁদের সঙ্গে যতটা কম মেশা যায় ততই ভালো।

```

সব সময় মনের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলে- কিছু মানুষ আবার এমন আছেন যাঁরা সব সময় অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেন। সবক্ষেত্রে তাঁরাই সেরা। তাঁরা যা বলবেন সেটাই ঠিক। অন্যের কিছু ভালো থাকলেও সেটা খারাপ। তাঁরটা যে ভালো সেটা আপনাকে মানতেই হবে। এছাড়া যাঁরা অাপনার ৫০ টাকার কোনও জিনিস দেখে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ টাকার কিছু কিনে এনে হাজির করেন তাঁদেরকেও কিন্তু এড়িয়ে চলবেন।