স্ত্রী কালী,গোটা গ্রাম ধ্বংস করে দেবে! ভয় পেয়ে যে কাণ্ড ঘটাল স্বামী!

স্ত্রীকে বড্ড ভালোবাসতেন। কালী রুপে দেখতেন স্ত্রীকে। স্বামীর ধারণা ছিল, স্ত্রীর জন্য তাঁদের গ্রামের অকল্যাণ হবে। তার স্ত্রী এই সময়ে আবার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অথচ শুধুমাত্র কুসংস্কারের বসে এবং নিজেকে বিশাল বড় এক তান্ত্রিক মনে করে এবং গ্রামকে বাঁচাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নদীতে ফেলে দিল স্বামী। কুসংস্কারের বলি অন্তঃসত্ত্বা মা। স্ত্রীকে কালী ভেবে খুন করল তান্ত্রিক স্বামী। গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার বোয়ালদার পঞ্চায়েতের সৈয়দপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। আর তারপর…

নিখোঁজ থাকার পরে তাঁর বাপের বাড়ি তরফ থেকে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই সুত্র ধরেই পুলিশ ওই মহিলার খোঁজ করতে শুরু করে।সৈয়দপুরে সই মহিলার বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকে তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, স্বামী নিজেকে শিব এবং তাঁর স্ত্রীকে কালী ভাবত। আর সেই ভাবনা থেকেই স্ত্রীকে খুন করেছে সে। এর পরই পুলিশ স্বপন কিস্কু নামে ওই ব্যক্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

```

মৃত মহিলার নাম চাঁদমনি পাহান। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের একট ৪ বছরের ছেলে রয়েছে। এদিন সকালে বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জে আত্রাই নদীর তীরে এক নগ্ন মহিলার দেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

মহিলার পরিচয় জানতে পেরে স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা যায়, ধৃত স্বপন বেশ কিছু দিন ধরে বাড়িতে একাধিক দেব দেবীর মূর্তি স্থাপন করে সাধনা করত। সেই সাধনার পরই তাঁর ধারণা হয়, স্ত্রী কালী। তাঁর স্ত্রী নাকি পুরো গ্রামকে ধংস করে দেবেন!

```

৪ ফেব্রুয়ারি ঘুরতে যাওয়ার নাম করে পাগলিগঞ্জে আত্রাই নদীরে তীরে স্ত্রীকে নিয়ে এসে স্বাসরোধ করে খুন করে ওই ব্যক্তি। এর পর বাড়িতে গিয়ে পুজো অর্চনা করে গ্রামকে কালীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী সাধনা করতে গিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে।