চিনতো না কেউ,ভরসা করে দলে নেই মুম্বাই, নিজেকে প্রমাণ করে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি যুব ক্রিকেটারের

আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সফল দলগুলির মধ্যে অন্যতম তারা সব থেকে বেশি বার ট্রফি জিতেছে। আর মুম্বাইয়ের ট্রফি জেতার অন্যতম কারণ হলো যুব ক্রিকেটারদের তারা যথেষ্ট ভালো সুযোগ দেয়। আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের নতুন উঠতি তারকা হলেন তিলক বর্মা। এখনো অতটা জনপ্রিয়তা না পেলেও তিনি যে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের দিকে ধীরে ধীরে পা বাড়াচ্ছেন অন্তত গত বছরের আইপিএল এ তিনি সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন।। এবার চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে তিনি যে অনবদ্য পারফরম্যান্স করলেন তা দেখে রীতিমত খুশি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দল এবং তাদের সমর্থকরা। তাছাড়া ভবিষ্যতে যে ভারতীয় দল আরো একটি শক্তিশালী ক্রিকেটার পেতে চলেছে সেটাও পরিষ্কার হয়ে গেল।।

চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে হায়দরাবাদ মুখোমুখি হয়েছিল মণিপুরের। সেই ম্যাচেই সাত উইকেটে বড় জয় পেল হায়দরাবাদ। সৌজন্যে অবশ্যই তাঁদের বাঁহাতি ব্যাটার তিলক বর্মা। এক অপরাজিত দুরন্ত শতরানে দলকে এনে দিলেন বড় জয়। শতরান শুধু করলেন না দ্রুতগতিতে করলেন রান। এটি লিস্ট-এ ক্রিকেটে তিলকের পঞ্চম শতরান। উল্লেখ্য সবেমাত্র তিলক ভার্মাকে ২০২৩ আইপিএলের জন্য রিটেন করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্রাঞ্চাইজির। তাঁদের ভরসাকে এদিন ২২ গজে পূর্ণ মর্যাদা দিলেন তিনি।নয়া দিল্লির পালাম বি স্টেডিয়ামে এদিন দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করেন তিলক বর্মা। এদিন ৬৮ বলে শতরান সম্পন্ন করেন তিলক বর্মা। ৭৭ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এদিন তিলক বর্মার ইনিংস সাজানো ছিল ১৪টি চার এবং সাতটি ছয়ে। ফলে জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২১.২ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে এদিন সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ দল। ৮.৫ ওভারে একটা সময় তাঁদের স্কোর ছিল ২৮ রানে ৩ উইকেট। সেখান থেকে ম্যাচের রং একেবারে বদলে দেন তিলক বর্মা এবং রোহিত রায়াডু জুটি। ১৬৪ রানের এক দুরন্ত জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তাঁরা। উল্লেখ্য এদিন লিস্ট-এতে ছিল বর্মার ২৩ তম ম্যাচ। আর সেখানেই তাঁর ৫ম শতরানটি তুলে নিলেন বর্মা। এই মুহূর্তে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মোট ১১১৬ রান। গড় ৫৩ রান। পাঁচটি শতরানের পাশাপাশি তিলকের ঝুলিতে রয়েছে চারটি অর্ধশতরানও।

এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মণিপুর। তাঁরা তাঁদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯১ রান করতে সমর্থ হয়। বিকাশ সিং নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ বলে ৪৪ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন। মেহেদত্ত্রা শশাঙ্ক হায়দরাবাদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন। সব মিলিয়ে আর প্রায় তিন মাস পর আইপিএল এবং সেই আইপিএলে তিলক বর্মা যে মুম্বাইয়ের হয়ে দুরন্ত পারফরমেন্স করবেন সেটা রীতিমত বলাই যায়।

পাশাপাশি জানিয়ে রাখবো যে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে এবং সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার চেষ্টা করছে তার কারণ প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে এবং সম্ভাবনা প্রবল যে দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে। পাশাপাশি হার্দিকের জন্য এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাকে ভারতের ভবিষ্যতের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাই এটা রীতিমতো তার কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষা হবে, তুমি যদি ভালো ক্যাপ্টেন্সি করতে পারেন তাহলে হয়তো ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকেই ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখা যাবে।