বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি ভারতীয় দল এবং সমস্ত ক্রিকেট ভক্তরা একটা দুর্দান্ত ম্যাচের অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু ভারতীয় দল বল হাতে বোলিং করা শুরু করতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় দলের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া যে টোটালে গিয়ে পৌঁছেছিল এই পিচের উপর বলা চলে খুব একটা ভালো ও নয় আবার খারাপও নয়। তবে ভারতীয় দলের পর পর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জাত চেনালেন বিরাট কোহলি।
বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের অন্যতম খুঁটি, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বিরাট কোহলি ভালো না খেললে ভারত হেরে যেত, আর বিরাট খেলতো ও দাপটের সাথে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ফরম হারানোর পর থেকে দায়িত্ব অন্য ক্রিকেটাররা ভাগ করে নেয়,বিগত কয়েক বছর ধরে তার উপর দল আর খুব বেশি নির্ভর করে না তার কারণ গিলের মতো ক্রিকেটাররা উপরের দিকে এত ভালো ব্যাটিং করে যে বিরাট কোহলি খুবই ঠান্ডা মাথায় নিজের খেলাটা খেলতেই পারে, যে কারণে সে ফরমেট ফেরার সুযোগটাও পেয়েছে। আর ফর্মে ফিরেই বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে জয় এনে দিলেন তিনি।
রোহিত শর্মা ঈশান কিষাণ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ক্যাপ্টেন শ্রেয়শ আইআর আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের ফিরে গেলে ভারতীয় দল তীব্র চাপের মধ্যে পড়ে যায় এবং এরকম সময় একটা কঠিন সময়ে বিশাল পার্টনারশিপ করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে একটা ভালো এবং শক্তিশালী পজিশনে নিয়ে আসে বিরাট কোহলি এবং তার সাথে ছিলেন কে এল রাহুল। দুজনেই অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এবং ১৫০ রানের বেশি একটা পার্টনারশিপ করেছেন যা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ময়দানে ভারতীয় দলের সবথেকে বড় রেকর্ড হয়ে গেল।
যদিও সবাই অপেক্ষা করেছিল বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির কিন্তু ৮৫ রান করে বিরাট কোহলি প্যাভিলিয়নে যান এবং আরও একটি সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও তাকে হাফ সেঞ্চুরি নিয়েই প্যাভিলিয়ন ফিরতে হলো। পাশাপাশি কে এল রাহুল যখন ৯১ রানে ব্যাট করছিলেন ভারতীয় দলের জেতার জন্য দরকার ছিল আর মাত্র ৫ রান, সেখানে তিনি একটি চার মেরে ৯৫ রানে পৌঁছে তারপরে ছক্কা মারলেই সেঞ্চুরি সম্পন্ন হয়ে যেত। কিন্তু যেই তিনি চার মারার জন্য ব্যাটটি তুললেন কভারের উপর দিয়ে, এত ভালই টাইপিং হয়ে যায় যে সেটি 6 হয়ে যায়। এবং ভারত ম্যাচ জিতে যায় এবং ৯৭ রানে থেকে যায় কে এল রাহুল।
যদিও ৯৭ রানে নট আউট থাকার পরেও তিনি ব্যাট তোলেন এবং দর্শকদের অভিবাদন করেন কারণ যে ইনিংস তিনি খেলেছেন সেটা কোন অংশে সেঞ্চুরি থেকে কম নয়। ভারতীয় দলকে জেদানোতে যথেষ্ট অবদান তিনিও করেছেন তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল বিরাট কোহলির। রীতিমত অস্ট্রেলিয়ার চোখে চোখ রেখে তিনি ভারতীয় দলকে এই জয় ছিনিয়ে এনে দিয়েছেন।
ভারতীয় দল বিশ্বকাপে তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে দিল্লিতে।