ভারতীয় ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবথেকে ট্রেনিং যদি কারো নাম থেকে থাকে তাহলে সেটা যশস্বী জসওয়াল। যেভাবে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লাগাতার একের পর এক ম্যাচে অনবদ্য ইনিংস খেলে চলেছেন তাতে করে তিনি অবাক করে দিয়েছেন সারা ক্রিকেট বিশ্বকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনি ৮০ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলেন এবং দ্বিতীয় ম্যাচেও ডবল সেঞ্চুরি আবার তৃতীয় ম্যাচেও ডাবল সেঞ্চুরি। তবে তার আগে এই কাজ অন্য আরও ২ ভারতীয় করে গেছেন।
ব্যাটসম্যানদের জন্য ক্রিকেটের ইতিহাসে সবথেকে বড় পাওনা যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা হল সেঞ্চুরি এবং ভারতের বিখ্যাত ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকার এতটা বিখ্যাত কারণ তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করে গেছেন।। তবে শচীন টেন্ডুলকার কখনো লাগাতার ডবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি যেটা যশস্বী করে দেখালেন। যদিও এটার জন্য শচীনের মহানতা কমে না। যাই হোক, যশস্বী ছাড়াও ভারতের আরও দুই ব্যাটসম্যান এই কাজ করে গেছেন যার মধ্যে একজন আবার শচীনের ছোটবেলার সতীর্থ যার সাথে শচীন অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। শচীন তেন্ডুলকারের সতীর্থ যার সাথে তিনি অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন সেই বিনোদ কামলি এই কাজ করে দেখিয়েছিলেন এবং লাগাতার দুটি ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ২২৪ রানের একটি ঐতিহাসিক ইনিংস তিনি খেলেছিলেন আবার তার পরবর্তী ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি 227 রানের একটি ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে তখনকার জিম্বাবুয়ে কিন্তু এখনকার জিম্বাবুয়ের মত দুর্বল দল ছিল না তখনকার জিম্বাবুয়েও কিন্তু ভারত পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দল ছিল যারা বিশ্বকাপের মধ্যে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষমতা রাখতো।
এরপর যে ক্রিকেটারের নাম করতে চলেছি অবশ্যই তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে সেরা ক্রিকেটার তিনি হচ্ছেন বিরাট কোহলি। ২০১৭ সালে বিরাট কোহলি শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দুটি ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছিলেন যেখানে তিনি প্রথমে ২১৩ রানের একটি ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন এবং তারপরে ২২৫ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন এবং লাগাতার তার এই দুটি ডবল সেঞ্চুরি করেন।
যেভাবে ভারতীয় দলের যুবক ক্রিকেটাররা উঠে আসছে এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদের প্রয়োজনীয়তা খুব একটা অনুভব করতে দিচ্ছে না বিশেষ করে যেটা শর্ট পূজার এবং রাহানে যারা এই মুহূর্তে দলের বাইরে রয়েছে। পাশাপাশি বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার বয়স অনেকটাই হয়েছে সেই দিক দিয়ে যেভাবে যুব ক্রিকেটাররা যেভাবে দায়িত্ব নিচ্ছে তাতে ভারতীয় ক্রিকেট ভালো হাতে রয়েছে এটা বলা যায়।
সবমিলিয়ে, টেস্ট ক্রিকেটে আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।