সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা যে টুর্নামেন্টের অপেক্ষা করছিল সেই বিশ্বকাপ ২০২৩ এবার শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছে গতবারের বিশ্বকাপের দুই ফাইনালের দল অর্থাৎ নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ একটি ছক্কা দিয়ে শুরু হয়েছিল। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বিরুদ্ধে ছক্কা মেরে স্কোরবোর্ডকে গতিশীল করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড দল এমন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে, যা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগে কখনও হয়নি। ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ক্যারিশ্মা দেখিয়েছে ইংল্যান্ড দল।
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ডাবল ফিগার পেরিয়েছেন দলের সব ব্যাটসম্যান। অর্থাৎ এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড দলের সব ক্রিকেটার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন, এবং প্রত্যেক ব্যাটারই স্কোর বোর্ডে ডাবল ফিগারের রান করেন।ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০০ রানের স্কোর পার করতে না পারলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। ইংল্যান্ড দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই করেছেন ব্যাক্তিগত অন্তত ১১ রান। একভাবে বলা যায়, প্রতিটি ব্যাটসম্যানই ভালো সূচনা পেলেও ইংল্যান্ড দল কিন্তু ৩০০ ছুঁতে পারেনি।
এই ম্যাচে ইংল্য়ান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৭৭ রা করেন জো রুট। ৮৬ বলে চারটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ রান করেন তিনি। আর যদি দলের সর্বনিম্ন রানের কথা বলা যায়, তাহলে মইন আলি ও ক্রিস ওকস এদিন দলের হয়ে সবথেকে কম রান করেন। এদিন তারা ইংল্যান্ডের হয়ে স্কোর বোর্ডে ১১ রান করেন। অর্থাৎ দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার ডাবল ফিগার ক্রস করে বাইশ গজে নতুন ইতিহাস লিখলেন।
এদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে জনি বেয়ারস্টো ৩৫ বলে ৩৩ রান করেন। ডেভিড মালান ২৪ বলে ১৪ রান, জো রুট ৭৭ রান, হ্যারি ব্রুক ১৬ বলে ২৫ রান করেন। এরপরে মইন আলি ১৭ বলে ১১ রান, জোস বাটলার ৪২ বলে ৪৩ রান করেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ২০ রান, স্যাম কারান ১৪ রান, ক্রিস ওকস ১১, আদিল রশিদ ১৩ বলে ১৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বলে ১৩ রান করেন মার্ক উড।
এদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিটি ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁতে সফল হয়েছেন। এইভাবে, এটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটি নতুন অনন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়ে উঠেছে। এই সমান করা যেতে পারে তবে এই রেকর্ড অন্য দলের কাছে ভাঙা কঠিন হবে।
ইংল্যান্ডের এই রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা, বিশেষত কনওয়ে এবং আর রবিন্দ্র।