কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ২০২৩ সালের আইপিএলে রীতিমতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামতে চাইছে কেকেআর কিন্তু তাদের ক্যাপ্টেন ইতিমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে আর আইপিএল যত এগিয়ে আসছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে চিন্তা ততই বাড়ছে। একের পর এক ক্রিকেটার চোট পাচ্ছেন। চোট পেয়ে এমনিতেই অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার প্রায় গোটা মরসুমে ছিটকে গিয়েছেন। চোট পেয়েছেন লকি ফার্গুসন। আর সেই তালিকাতে সংযোজন হলো আরো এক ক্রিকেটারের নাম।
সেই তালিকায় নতুন নাম নীতীশ রানা। কেকেআরের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসাবে যাঁকে ভাবা হচ্ছে, তিনি চোট পেয়েছেন বৃহস্পতিবারের অনুশীলনে।দিন দুয়েক আগে থেকে ইডেন গার্ডেন্সে অনুশীলন শুরু করেছে কেকেআর। বৃহস্পতিবার চোট পান নীতীশ। দু’টি আলাদা নেটে ব্যাট করছিলেন নীতীশ। একটি নেটে স্পিনার, অপর নেটে পেসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তৃতীয় বার থ্রোডাউনের বিরুদ্ধে খেলছিলেন। তখনই চোট পান। একটি বল এসে তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল চেপে মাটিতে বসে পড়েন নীতীশ। মাঠে থাকা সাপোর্ট স্টাফ, ফিজিয়োরা ছুটে আসেন।
কতটা যন্ত্রণা পেয়েছেন সেটা দূর থেকেও নীতীশের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে জুতো-মোজা খুলে ফেলেন তিনি। প্রায় পাঁচ মিনিট মাটিতে শুয়ে ছিলেন। সেই সময়ে প্যাড, গার্ড খুলে ফেলেন। তার পরে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠের এক ধারে চলে যান। তার পরে আর অনুশীলন করেননি। কিন্তু দলের অনুশীলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন।সাজঘরে ফিরে আরও শুশ্রূষা হয় নীতীশের চোটের। মাঠ থেকে বেরনোর সময় নীতীশের বাঁ গোড়ালিতে ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় দেখা যায়। তবে এক ওয়েবসাইটকে নীতীশ জানান, চোট গুরুতর নয়। যদিও মুখ বা আচরণ দেখে সেটা বোঝা যায়নি।
লকি ফার্গুসন: চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট এবং একদিনের সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। এমনকি আইপিএল-এ তাঁকে পাবে না কলকাতা নাইট রাইডার্সও। পিঠের চোটে কাবু শ্রেয়স। গতকাল শোনা গিয়েছিল, চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে নাইট অধিনায়ককে। এরপর লকি ফার্গুসনের চোট সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার নাইটরা আর অনুশীলন করেনি। শুধুমাত্র জিম সেশন হয়েছে। নীতীশের চোট নিয়ে নাইটদের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি। শনিবার সিএবি একাদশের বিরুদ্ধে কেকেআরের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা।