এক ম্যাচেই ৮০৫ রান,বিজয় হাজারেতে প্রথমবার ৪০০ টপকে ঘাম ঝরিয়ে ম্যাচ জিতল বাংলা

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ আজকে একের পর এক ম্যাচে ঐতিহাসিক কান্ড ঘটেছে। তামিলনাড়ু ম্যাচে ৫০০র বেশি রান যেখানে ২৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন প্রাক্তন সিএসকে তারকা নারায়ণ জগদিশন। পাশাপাশি বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে প্রথমবার চারশো রানের গণ্ডি টপকাল বাংলা। নিজেদের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস গড়েও অবশ্য ঘাম ঝরিয়ে ম্যাচ জিততে হল অভিমন্যু ঈশ্বরনদের।সোমবার এলিট ই-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সার্ভিসেসের মুখেমুখি হয় বাংলা। রাঁচিতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামেন ঈশ্বরনরা।

সুদীপ ঘরামি ও ক্যাপ্টেন ঈশ্বরনের জোড়া শতরানে ভর করে বাংলা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৪২৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।সুদীপ ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১২৯ বলে ১৬২ রান করে আউট হন। ঈশ্বরন ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৩ বলে ১২২ রান করেন। এছাড়া শাহবাজ আহমেদ ২৮ বলে ৫৯, ঋত্বিক রায়চৌধুরী ১২ বলে ৩১ ও মনোজ তিওয়ারি ৮ বলে ২০ রান করেন।উল্লেখ্য, এর আগে বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ছিল ৫ উইকেটে ৩৯৭ রানের।

```

২০০৪ সালে অসমের বিরুদ্ধে এমন বড়সড় ইনিংস গড়ে বাংলা। এছাড়া গতবছর জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান তোলে বাংলা।বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার সেরা ৫টি দলগত ইনিংস:-১. ৪২৬/৪ বনাম সার্ভিসেস (২০২২)২. ৩৯৭/৫ বনাম অসম (২০০৪)৩. ৩৬৮/৪ বনাম জম্মু-কাশ্মীর (২০২১)৪. ৩৫০/৮ বনাম তামিলনাড়ু (২০১০)৫. ৩৪৯/৫ বনাম ত্রিপুরা (২০০৪)জবাবে ব্যাট করতে নেমে সার্ভিসেস এই ম্যাচে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭৯ রানে আটকে যায়।

বিশাল ইনিংস গড়েও বাংলা মাত্র ৪৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। শাহবাজ আহমেদ ৪টি ও প্রদীপ্ত প্রামানিক ৩টি উইকেট দখল করেন। সুতরাং, দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচের ১০০ ওভারে মোট ৮০৫ রান ওঠে।

```

পাশাপাশি আজ জগদিশনের ইনিংসের জন্য রীতিমত তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট। ২৭৭ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন প্রাক্তন সিএসকে ব্যাটসম্যান জগদিশন।