ম্যাচ শেষে আবেগ আপ্লুত হয়ে বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়ে গেলেন এম এস ধোনি!

ষাট হাজার আসন-বিশিষ্ট স্টেডিয়ামের চারিদিকে মোবাইলের আলো জ্বলছে। প্রায় সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। তৈরি হয়েছে একটা মায়াবী পরিবেশ। হয়ত সকলের গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। সম্ভবত শুধু একজন বাদে, তিনি হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কারণ আবেগ তো তাঁকে ছুঁতে পারে না। কিন্তু তা বলে বাকিরা কি ‘ধোনি’ আবেগের স্রোত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন? নিঃসন্দেহে পারেন না। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ‘হোম ম্যাচে’ ইডেনের গ্যালারি ‘হলুদ’ হয়ে গেল। পুরো স্টেডিয়ামে স্রেফ একটাই ধ্বনি উঠল – ‘ধোনি, ধোনি….’।

শুধু ধোনির ব্যাট করতে নামার সময় নয়, রবিবাসরীয় সন্ধ্যা-রাতটা মাহিতেই মগ্ন থাকল ইডেন গার্ডেন্স। বাস থেকে নেমে ইডেনে প্রবেশের সময় হোক বা টসের সময় হোক বা ফিল্ডিংয়ের সময় হোক বা ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ (ডিআরএস) সঠিক প্রমাণিত হওয়া হোক, মাহি মাদকতায় ইডেন আচ্ছন্ন হয়ে থাকল। ইডেনকে দেখে মনে হচ্ছিল যে খাতায়কলমে একটি ম্যাচ হচ্ছে। খেলছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু ইডেনের কাছে মাঠে একজনই ছিলেন, তিনি হলেন ধোনি। তাঁর জন্যই ইডেনে পুরো হলুদ সমুদ্রে ভেসে গেল। কেকেআর কার্যত পাত্তাই পেল না।

```

সেই ইডেনকে দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন স্বয়ং ধোনিও। ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনি বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলব যে এভাবে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ। (ইডেন গার্ডেন্সে আজকের ম্যাচের জন্য) প্রচুর মানুষ এসেছেন। এরপর যখন কেকেআরের ম্যাচ হবে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ কেকেআরের জার্সি পরে মাঠে আসবেন। সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। ওঁরা নিজেদের দলের প্রতি ভালোবাসা উজাড় করে দেন।’

আর হবেই বা না কেন, এটাই তো সম্ভবত ইডেনে শেষ পেশাদারি ম্যাচ খেলে ফেললেন ধোনি। যা কার্যত নিজে মুখেই জানিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, এটাই সম্ভবত তাঁর শেষ আইপিএল হতে চলেছে। ধোনির কথায়, ‘আমার মতে, এটা একবারই হল। ওঁরা (কলকাতার মানুষ) আমায় ফেয়ারওয়েল দিতে চাইছিলেন। ওঁরা বলতে চাইছিলেন যে আমরা মাঠে আসব, হলুদ পোশাক পরে আসব। আমার তরফে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা দুর্দান্ত। একটি স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সি পরা এত মানুষ – তাও কলকাতায় খেলা হচ্ছে। ওঁদের ধন্যবাদ।’

```

পাশাপাশি জানিয়ে রাখবো যে চেন্নাই সুপার কিংসের ২৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্যের সামনে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর ব্যাটিং। রিঙ্কু সিং এবং জেসন রয় ছাড়া সেভাবে কাউকে ভালো পারফরম্যান্স করতে দেখা যায়নি ব্যাট হাতে।