অম্বাতি রায়াডু আউট হতেই ক্রিজের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সকলেই অপেক্ষায়, বিশ্বের সেরা ফিনিশার ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন। হাঁটুর চোট নিয়ে গত দু-মাস ধরে খেলে গিয়েছেন। ডাগ আউট থেকে ক্রিজের পথটা খুব বেশি নয়। হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে ক্রিজে পৌঁছতে যতটা না সময় লাগলো, ফিরতে লাগল তারও অনেক বেশি। নিজের অস্ত্রে ফের ঘায়েল! হয়তো তাই। তাঁর নেতৃত্বে খেলেছেন মোহিত শর্মা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে দ্বিতীয় বলেই ধোনিকে ফিরিয়েছিলেন মোহিত শর্মা। ফাইনালে প্রথম বলেই ফেরালেন।গোল্ডেন ডাক মাহি! জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ধীর পায়ে। তাঁর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন স্যার জাডেজা।
শেষ ওভারে ক্যাপ্টেনকে উপহার দিলেন পঞ্চম আইপিএল ট্রফি। শেষ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল চেন্নাইয়ের। ধোনি চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। চোখ খুলে দেখলেন জাডেজা ম্যাচ জিতিয়ে তাঁর দিকেই ছুটে আসছেন। ম্যাচের পর ধোনি বললেন, ‘পরিস্থিতি বলছে, আমার অবসর ঘোষণা করা উচিত। কিন্তু…’। এ মরসুমে প্রতিটা ম্যাচ দেখেই মনে হয়েছে, যেন কেরিয়ারের শেষ আইপিএল খেলছেন মাহি। পোস্ট ম্যাচে অবসর নিয়ে প্রশ্ন সামলাতে হয়েছে বেশ কয়েক বার। মাহির মস্তিষ্ক বোঝার ক্ষমতা কারও নেই।
কখনও বলেছেন-‘এটাই আমার কেরিয়ারের শেষ পর্ব।’ কখনও আবার-‘বহুদিন বাড়ির বাইরে। সেই মার্চ থেকে অনুশীলন শুরু করেছি। ভাবার জন্য হাতে অনেকটা সময় আছে।’ আবার এক দিন তো বলেই ফেললেন, ‘চেন্নাইয়েই থাকবো। তবে মাঠে নেমে খেলব নাকি অন্য কোথাও, নতুন ভূমিকায়, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে হার দিয়ে মরসুম শুরু হয়েছিল। ফাইনালে সেই গুজরাট টাইটান্সকেই ৫ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চম ট্রফি চেন্নাই সুপার কিংসের। পোস্ট ম্যাচে সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে সিএসকে অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কোনও প্রশ্ন করব, নাকি আপনিই নিজে থেকে কিছু বলতে চান।’
ধোনির সহাস্য জবাব, ‘ভালো হয়, আপনিই আমাকে প্রশ্ন করুন।’ হর্ষ ভোগলেই বলতে শুরু করেন ধোনির লেগাসি প্রসঙ্গে। উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন সঞ্চালক। ধোনিকে সে কথা মনে করিয়ে দিলেন। এরপরই মাহির জবাব, ‘সবরকম পরিস্থিতি বিচার করলে, আমার অবসর ঘোষণা করা উচিত। যতটা ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনও পাচ্ছি, আমার পক্ষে এটাই বলা সহজ যে ধন্যবাদ। কিন্তু এখনও অন্তত ৯ মাস বাকি রয়েছে, মন চাইছে, আরও একটা মরসুম খেলব।’
সব মিলিয়ে ধোনির ইচ্ছে রয়েছে ফিরে আসার, তবে নিজেকে ফিট রাখতে পারবেন কি না সেই নিয়ে নিজের ওপরেই সন্দেহ করছেন মাহি, তাই ফিট থাকলে তিনি যে অবশ্যই খেলবেন সেটা পরিষ্কার। এখন এটাই দেখার যে আগামী 9 মাস ধোনি নিজেকে ফিট রাখতে পারেন কি না।