বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে নেমেছিল ভারতীয় দল তবে সেই ম্যাচে যে সমস্ত ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তা রীতিমতো প্রশ্নচিহ্নের মুখে। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বিশ্রামে পাঠানোটা অবশ্যই মেনে নেওয়া যায় কিন্তু এমন সমস্ত প্লেয়ারদের ভারতীয় দল এই এশিয়া কাপে নিয়ে এসেছে ব্যাকআপ হিসেবে যারা কোনভাবেই ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার যোগ্য নয়। তবে তার সত্বেও নিজের ১০০% দিয়ে ভারতীয় দলকে জেতানোর সমস্তটুকু চেষ্টা করে ইতিহাস বললেন শুভমান গিল।
প্রথম থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল কোন ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের স্পিন অ্যাটাক এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে নি। প্রথমেই বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকের সামনে উইকেট হারিয়ে বসেন রোহিত শর্মা, তারপর থেকে সেভাবে কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি, তবে এক প্রান্ত থেকে হাল ছাড়েনি শুভমান গিল, একের পর এক দুরন্ত শট দিয়ে তিনি তার ইনিংস আরো বড় করতে থাকেন। প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি এবং তারপরে সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন।
এখানে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তিনি খুব ধীরে ফেলেছেন এবং অনেক বেশী বল তিনি নষ্ট করেছেন, তবে তার পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে অন্য কোন ব্যাটসম্যান তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিল না। যেভাবে সে খেলছিল অন্য কোন ব্যাটসম্যান যদি তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকতো ওইভাবে বল বেশি খেলে তাহলেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাতে উইকেট থাকলে ভারত ম্যাচটি জিতে যেত। তার কারণ শেষ দু ওভারে দরকার ছিল মাত্র১৭ রান অর্থাৎ ব্যাটসম্যান যদি থাকত হাতে যদি উইকেট থাকতো তাহলে ভারত এই ম্যাচে জিততে পারত।
সব মিলিয়ে শুভমান গিল নিজের মত একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তবে ভারতীয় দলের সেই সমস্ত প্লেয়াররা যাদেরকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও দলে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র সিলেক্টারদের ভালোবাসার জন্য সেই সমস্ত ক্রিকেটাররা ভারতীয় দলকে ডুবিয়েছে এবং বাংলাদেশের মতো একটি দুর্বল দলের কাছে ভারতকে এই লজ্জার হার মেনে নিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
ভারতীয় দলের এই সিদ্ধান্ত আরো একবার প্রমাণ করল যে টিম সিলেকশনের দিক দিয়ে তারা কতটা বড় ভুল করেছে এবং সমস্ত ক্রিকেটাররা যারা এই সময় ভারতীয় দলের সাথে রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক এমন প্লেয়ার রয়েছেন যারা সেখানে যোগ্য নয়। সঞ্জু স্যামসন এর মত ক্রিকেটারদের বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছে, সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
সব মিলিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের রোশানলে পড়তে হয়েছে ভারতীয় দলের সিলেকশনকে।