আমি মেয়ে তাই মারতেই পারি বলে ৩ থাপ্পড় মারা মেয়েকে পাল্টা ১ থাপ্পড়ে দাঁতপাটি খুলে দিল যুবক

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি যে একটা ছেলে আর একটা মেয়ের মাঝে যদি কোন সমস্যা হয় রাস্তাঘাটে, সেখানে অধিকাংশ মানুষ মেয়েটিকে সাপোর্ট করে এবং তারা এটা জানার চেষ্টাও করেনা যে সেখানে ছেলের কোন দোষ আছে কি নেই । এমনকি আজকালকার দিনে রাস্তাঘাটে কোনো ছেলে মেয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে পুলিশ যদি সেখানে আসে সবার প্রথমে তারা ছেলেকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, কারণ আমাদের সমাজের মেন্টালিটি এরকমটাই হয়ে গেছে যে মেয়ে যেহেতু সুতরাং একটা পুরুষ মানুষের গায়ে হাত তোলার অধিকার তাকে দেয়া হলো তাতে ছেলেটির দোষ থাকুক বা না থাকুক। তবে এই মেন্টালিটি ধ্বংস করার জন্য নিচের ভিডিওটি যথেষ্ট।

কিছুদিন আগের লখনৌ শহরেও এমন একটি ঘটনা ঘটে যায় যেখানে এক ট্যাক্সিচালককে রাস্তার মধ্যে বেধড়ক মারধর করেন একটি মেয়ে, কিছুটা সেরকম একটি ঘটনা আবার ঘটেছে যেখানে একটি অজানা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে মাঝরাস্তায় ঝগরা শুরু হয়, যেখানে মেয়েটি বলতে থাকে আপনি একজন ছেলে হয়ে আমার গায়ে কি করে হাত তুলতে পারেন, অথচ তার আগে ওই মেয়েটিই ছেলেটির গায়ে তিনি থাপ্পড় মেরে ফেলেছে। অর্থাৎ তার বক্তব্য আমি মেয়ে বলে আপনাকে মারতে পারি কিন্তু আপনি ছেলে বলে আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। নিচে রইলো ভিডিওটি।

```

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণভাবে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওটি, মানুষজন কমেন্টে লিখছেন যে ছেলেটি যা করেছে একদম ঠিক কাজ করেছে । অন্ধ সমাজের চোখ কবে যে খুলবে এবং সবকিছুতে ছেলেদের দোষ দেখাটা কবে যে বন্ধ হবে সেটা তো সময় বলে দেবে। নিচে রইলো ভিডিওটি :

https://youtu.be/5WaUpP1EVww

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েটি থাপ্পর মারার সাথে সাথে তাকে সুদ সমেত ফেরত দিলেন ছেলেটি। যোগ্য জবাব দিলেন তিনি। সমাজের প্রত্যেকটা জায়গায় ছেলে এবং মেয়ের সমান অধিকার রয়েছে, এমনকি আজকাল পুলিশ থেকে শুরু করে আর্মিতে ও মেয়েদের সমান অধিকার রয়েছে ছেলেদের মতোই। তাহলে একটা ছেলের গায়ে হাত যদি তুলতে পারে একটা মেয়ে তাহলে একটা ছেলের কাছ থেকে মার খেতে কেন পারবে না।

```

আপনার মতামত কমেন্টে জানান। ছেলেটি কি ঠিক কাজ করেছে ? নাকি যেহেতু সে মেয়ে তাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে তার কাছে মার খাওয়া উচিত ছিল, যেমনটা লখনউ এর যুবক করেছিলেন।