প্রতি সোমবার এই শিব মন্ত্র জপ করুন, সব অমঙ্গল দূর হয়ে যাবে

হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বইয়ে এমন বহু স্তোত্রের সন্ধান পাওয়া যায়, যা দেব-দেবীর পুজে করার সময় পাঠ করা হয়ে থাকে। অনেকে এই সব স্তোত্র, মন্ত্র হিসেবে জপ করেন, তো কেউ কেউ ভজনের মতো করে গেয়ে থাকেন। একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে প্রতি সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করার পর যদি এই ‘পঞ্চ অক্ষর’শ্লোকটি পাঠ করা যায়, তাহলে একাধিক উপকার মেনে।

বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক উন্নতিও ঘটে ৷ পঞ্চ অক্ষর স্তোত্রের অন্দরে পাঁচটি শব্দ লুকিয়ে রয়েছে, তাই তো এই শ্লোকটিকে পঞ্চকশরা অর্থাৎ পাঁচ অক্ষর সমৃদ্ধ স্তোত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এই পাঁচটি শব্দ হল “ন”, “মঃ”,”শি”, “বা”,”য়”। আর্থাৎ “নমঃ শিবায়”। এই পাঁচটি শব্দ যথাক্রমে মাটি, জল, আগুন, বায়ু এবং আকাশের প্রতীক। আর এই পাঁচটি উপদান দিয়েই তো মানুষের শরীর গঠিত হয়। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার এই শ্লোকটি পাঠ করলে শিব ঠাকুর তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।

‘পঞ্চ অক্ষর’স্তোত্রে মোট পাঁচটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপ হল-“নাগেদ্র হারায়া ত্রিলোচনায়া, ভাশমাঙ্গে রাগায়া মহেশ্বরায়া, নিত্যায়া শুদ্ধায়া দিগমবারায়, তাসমৈ না কারায়া নমহ শিবায়”।দ্বিতীয় পাঠটি হল- “মন্দাকিনি শলিল চন্দ্রায়া চার্চিতায়া, নন্দিশ্বারয়া প্রমথা নাথ মহেশ্বরায়া, মন্দ্র পুষ্প বাহু পুষ্প সুপজিতায়া, তাসমৈ মা কারায়া নমহ শিবায়।”

তৃতীয় ধাপটি হল-“শিবায় গৌরি বাদানা যা বৃন্দ, সূর্য দকশ ধোওয়ারা নশকায়া, শ্রী নীল কন্ঠ বিষ ধরায়, তসমৈ শ্রী কারায়া নমহ শিবায়”।

চতুর্থ ধাপটি হল-“বশিষ্ঠ কুম্ভদ ভাবা গৌতম আচার্য মুনিন্দর দেভা আর্চিতা শিখারায়া। চন্দ্র আর্ক বৈষবানারায় লোচনায়, তসমৈ ভা কারায় নমহ শিবায়”।