ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা, যিনি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ান মিডল-অর্ডারকে ভেঙে দিয়েছেন। নাগপুরের পিচের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা, যিনি তাঁর ১১ তম পাঁচ উইকেট শিকারের নথিভুক্ত করেছেন। এদিনের ম্যাচে ২২ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৭ রানে অলআউট করা পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন জাদেজা। আর তার মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
গত বছর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছিলেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।রবীন্দ্র জাদেজা নাগপুরের পিচকে ‘ডক্টরড’ ওয়ান বা ‘র্যাঙ্ক-টার্নার’ বলতে চাননি। এই বিতর্ককে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছিলেন যে পিচটি আসলে ধীরগতির ছিল এবং অন্যান্য ভারতীয় টেস্ট ভেন্যুগুলির তুলনায় কম বাউন্স ছিল। খেলার সমাপ্তির পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাদেজা বলেছিলেন, ‘না না, এটা মোটেও র্যাঙ্ক-টার্নার নয়। ভারতের অন্যান্য পিচের তুলনায় এখানে কম বাউন্স এবং উইকেট ধীরগতির। আজকের ডিফেন্স করা কঠিন ছিল না। টেস্ট ম্যাচ যত এগোচ্ছে, আমরা হয়তো আরও টার্ন দেখতে পাব কিন্তু এটা সর্বত্র স্বাভাবিক ছিল।’
ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুল স্বাগতিকদের দুর্দান্ত সূচনা দিলে পিচে যে কোনও ভূত ছিল না তা প্রমাণিত হয়েছিল। মাত্র ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় অধিনায়ক। রাহুল দিনের শেষভাগে অভিষেককারী টড মার্ফির বলে আউট হয়েছিলেন কিন্তু রোহিতের ব্যাটে ভর করে প্রথম দিনের শেষে ভারত ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৭ রানে নিয়ে যান।এদিন ম্যাচের পরে রবীন্দ্র জাদেজা বলেন, ‘বল হাত থেকে ভালোই বেরিয়ে আসছিল, লাইন এবং লেন্থও ভালো ছিল। উইকেটে তেমন বাউন্স নেই তাই আমি বোলিং স্টাম্প টু স্টাম্পের দিকে মনোযোগ দিচ্ছিলাম। আমি জানতাম, যদি আমি তা করি, আমি এলবিডব্লিউ করতে পারব।’
রবীন্দ্র জাদেজা আরও বলেছেন যে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচটি তিনি তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তা তাকে বোলিং ছন্দে আসতে সাহায্য করেছিল। রবীন্দ্র জাদেজা বলেন, ‘আপনি যখন প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন, আপনি মানসম্পন্ন ব্যাটারদের কাছে বল করতে পারেন। আমি তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে খেলেছি, তাদের ব্যাটিং শক্তিশালী ছিল। তাই আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি চেন্নাইতে একই রকম উইকেট ছিল, বাউন্স কম ছিল। আমি পুনরাবৃত্তি করেছি। স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার কৌশলটা নিয়েছি।’