জগদীশান, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মুহূর্তের সব থেকে বড় নাম। চারটি সেঞ্চুরির পর এবার ডবল সেঞ্চুরি সারা বিশ্বকে মাতিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখবো ক্রিকেটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুর্দান্ত সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহি। কিন্তু আসন্ন আইপিএল নিলামের আগে চেন্নাই সুপার কিংস এমন একজন ঘরোয়া ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছে, যিনি চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে টানা পাঁচ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেন।
শুধুমাত্র অধিনায়কত্ব এবং ম্যাচ খুব সুন্দরভাবে বোঝার দৌলতে তিনি অসংখ্য ম্যাচে ভারতকে জয় লাভ করিয়েছেন। এমন কি বর্তমান মুহুর্তে তাকে ভারতের কোচিং এর জায়গায় নিয়ে আসার কথাও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। কিন্তু জগদীশানকে মোটেও চিনতে পারলেন না তিনি। তবে এবার আইপিএলের প্লেয়ার রিটেনশনের ক্ষেত্রে সম্ভবত জীবনের সব থেকে ভুল সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছেন ধোনি। বিহারের বিরুদ্ধে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তামিলনাড়ু ওপেনার নারায়ান জগদীশান মাত্র ৫ রান করে আউট হন।
তবে তার পরে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গোয়া ও হরিয়ানার বিরুদ্ধে পরপর চারটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সাঙ্গাকারাদের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। এবার অরুণাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করে লিস্ট-এ ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন জগদীশান।চলতি বিজয় হাজারে এই নিয়ে টানা ৫ ম্যাচে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে গেলেন জগদীশন।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে টানা ৫ ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড আর কারও নেই। সেই নিরিখে বিরাট ইতিহাস গড়লেন তামিলনাড়ুর ওপেনার। এর আগে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমারা সাঙ্গাকারা, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যালভারো পিটারসেন এবং ভারতের দেবদূত পাডিক্কালের দখলে যুগ্মভাবে এই বিশ্বরেকর্ড ছিল।
পাশাপাশি জানিয়ে রাখবো যে আগামী মাসে ২০২৩ সালের আইপিএল এর জন্য নিলাম শুরু হতে চলেছে তবে এটি কোন মেগা নিলাম হবেনা, বেশ কিছুটা ছোট হবে এই নিলাম। হায়দ্রাবাদের মতো বেশ কিছু দলের কাছে চল্লিশ কোটির বেশি রয়েছে তবে কলকাতার মতো দলের কাছে মাত্র ৭ কোটি টাকা রয়েছে । সব মিলিয়ে খুব বেশি বড় নিলাম এটা হবে না।।