বাউন্ডারি থেকে পায়ের দূরত্ব কি একচুলেরও কম ছিল? চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে জিতেশ শর্মার যে ক্যাচটা ধরেন শেখ রশিদ, তা দেখে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিছুক্ষণ ধরে রিপ্লে দেখার পর তৃতীয় আম্পায়ার ওই ক্যাচ বৈধ বলে জানালেও পঞ্জাব কিংসের জিতেশ দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়।
যথারীতি ওই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, রশিদের পা বাউন্ডারি লাইনে ঠেকে গিয়েছিল।রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে আউট হয়ে যান জিতেশ। তুষার দেশপাণ্ডের ঢিমেগতির বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন। তবে ব্যাটের নীচে লাগে বল। লং-অনের বাউন্ডারির দিকে বলটা উড়ে যায়। বাউন্ডারির কিছুটা আগেই বলটা ধরে ফেলেন রশিদ।
কিন্তু বলটা কোথায় আসবে, তা সম্ভবত প্রাথমিকভাবে অনুমান করতে ভুল করেন তিনি। তাই ক্যাচ ধরার পরও নিজের ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি লাইনের একেবারে কাছে পা চলে যায় রশিদের। এতটাই কাছে পা ছিল যে খালি চোখে বোঝা যাচ্ছিল না। স্বভাবতই তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান অনফিল্ড আম্পায়ার।কয়েক মিনিট ধরে তৃতীয় আম্পায়ার সেই রিপ্লে খতিয়ে দেখেন। প্রাথমিকভাবে যে দিক থেকে রিপ্লে দেখছিলেন, তা থেকে বোঝা যাচ্ছিল না। অপর একটি দিক থেকে রিপ্লে দেখেন তৃতীয় আম্পায়ার। তাতেও পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছিল না যে রশিদের পা বাউন্ডারি লাইনে ঠেকেছে কিনা। শেষপর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার বলেন যে ‘বাউন্ডারির লাইন সরে যায়নি।’ তাই জিতেশকে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার। দেখুন সেই ভিডিও :
তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় জিতেশকে। নেটিজেনদের একাংশও দাবি করতে থাকেন যে ওটা আউট ছিল না। এমনকী তৃতীয় আম্পায়ারকেও তোপ দাগতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ।
তেমনই এক নেটিজেন বলেন, এক নেটিজেন বলেন, ‘তৃতীয় আম্পায়ার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও পঞ্জাব কিংসকে রুখতে পারলেন না। দুর্দান্তভাবে জিতল।’