ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১০০০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে যশস্বী জসওয়ালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রাজস্থান রয়্যালস নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোর বোর্ডে সাত উইকেটে ২১২ রান তোলে। এরপর ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ওভারে রোহিত শর্মা ৩ রান করে আউট হন। প্রথম উইকেটের পতনের পর ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে ইশান কিষাণ ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করলেও নবম ওভারে মুম্বই দ্বিতীয় ধাক্কা খায়। ২৩ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইশান কিষাণ।
দলের ওপেনিং জুটি প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরে মাঠে নেমেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। প্রথম বল থেকেই রাজস্থানের বোলারদের আক্রমণ করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং ১৫তম ওভারে ২ রান নিয়ে ২৪ বলে তাঁর অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এর পরে, সূর্য রাজস্থান বোলারদের উপর আক্রমণ আরও তীব্র করে তোলে এবং মনে হচ্ছিল মুম্বই সহজেই ২১৩ রানের লক্ষ্য অর্জন করবে। কিন্তু পরের ওভারে সন্দীপ শর্মার একটি আশ্চর্যজনক ক্যাচ ম্যাচটিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছিল।
আসলে, ট্রেন্ট বোল্ট ১৬তম ওভারে বল করতে আসেন। বোল্ট ওভারের চতুর্থ বলটি অফ সাইডের বাইরে করেছিলেন। যার উপর সূর্য বলের লাইনে গিয়ে একটি হুক শট খেলেন। বল হাওয়ায় ছিল এবং দ্রুত বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল কিন্তু সন্দীপ শর্মা সতর্ক ছিলেন। সন্দীপ ফাইন লেগের দিকে দ্রুত দৌড়ে যান এবং প্রায় ১৯ মিটার দূরত্ব কাভার করে হাওয়ায় নিজের শরীরকে ভাসিয়ে দিয়ে একটি অসাধারণ ক্যাচ নিতে সফল হন। ক্যাচটা ধরার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান সন্দীপ, তবে ততক্ষণে ক্যাচ ধরে ফেলেছিলেন তিনি। এরপর টিভি আম্পায়ারও ক্যাচ চেক করে সূর্যকে আউট ঘোষণা করেন। সন্দীপের এই ক্যাচটি টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেখুন সেই ক্যাচের ভিডিও:
৮টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রান করে আউট হন সূর্যকুমার যাদব।সন্দীপ শর্মার এই আশ্চর্যজনক ক্যাচটিকে এখন কপিল দেবের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ঐতিহাসিক ক্যাচের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা মুম্বইয়ের হাত থেকে পিছলে যাবে, কিন্তু এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়লেও রানের হার কমতে দেননি সূর্য।
সন্দীপ শর্মা, যিনি শর্ট ফাইন লেগে উপস্থিত ছিলেন, প্রথমে প্রায় ১৯ মিটার দৌড়ে কপিল দেবকে স্মরণ করিয়ে দেন এবং তারপর জন্টি রোডসের মতো হাওয়ায় লাফিয়ে একটি আশ্চর্যজনক ক্যাচ নেন। ধারাভাষ্যকাররাও একে মরশুমে সেরা ক্যাচ বলতে দ্বিধা করেননি।