“গিলকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে দুঃখ নেই”গিলকে রিটেন না করার কারণ জানালেন KKR এর MD

চলতি আইপিএলে শুরুটা ভালো করেও পরবর্তীতে খেই হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইতিমধ্যেই তাদের নটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে জয় এসেছে মাত্র তিনটিতে। হাতে রয়েছে আর পাঁচটি ম্যাচ। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলা হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। তবে সবকটা ম্যাচ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে জিতলেও কেকেআরের প্লে অফের আশা যে শেষ তা বলাই যায়। এমন আবহেই ফের বিতর্ক উঠেছে কেকেআরের স্কোয়াড গঠন নিয়ে। তাদের শেষ ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের পর থেকেই ধিকিধিকি করে জ্বলতে থাকা আগুনে যেন ঘৃতাহুতি হয়েছে।

গুজরাটের হয়ে প্রাক্তন কেকেআরের তারকা শুভমন গিলের ভালো পারফরম্যান্স এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিলামের আগে ক্রিকেটারদের রিটেন করা অর্থাৎ ধরে রাখার নেপথ্য কারণ নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন KKR-এর এমডি বেঙ্কি মাইসোর।কলকাতার বিরুদ্ধে গুজরাটের হয়ে শুভমন গিল ৪৯ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এরপরেই এই ডানহাতি ব্যাটার নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘ডে রাইডার্স’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেন। তারপরেই গিলের মতন সফল ব্যাটারকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে কেকেআর ম্যানেজমেন্টের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগড়ে দেন সমর্থকরা।

```

২০২২ সালের মিনি নিলামের আগে কেকেআর বেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিনকে রিটেন করে। ছেড়ে দেওয়া হয় ২০২১ সালে ফাইনালে খেলা দলের দুই তারকা শুভমন গিল, রাহুল ত্রিপাঠির মতন ক্রিকেটারদের। পরবর্তীতে নিলামের মধ্যে দিয়ে ১২.২৫ কোটি টাকা খরচ করে দলে নেওয়া হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। শ্রেয়স আইয়ার যদিও এই বছর কাঁধের চোটের কারণে গোটা আইপিএল থেকেই ছিটকে গিয়েছেন।শুভমন গিলকে গুজরাট টাইটানস এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে নেয়।

গতবারে অর্থাৎ ২০২২ সালে গুজরাট টাইটানস দলের সঙ্গে আইপিএলের শিরোপা পর্যন্ত জিতে নেন শুভমন গিল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বেঙ্কি মাইসোর জানিয়েছেন, ‘২০২১ সালের ফাইনালে আমাদের (কেকেআর) দলকে তোলার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং বরুণ চক্রবর্তীর। অন্যদিকে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

```

আর সুনীল নারিনের বিষয়ে আর আমাদের আলাদা করে কিছু বলারই নেই। সকলেই জানে ২২ গজে ব্যাট এবং বল হাতে নারিনের কি করার সামর্থ্য রয়েছে। ফলে এটা বলতে পারি সেই সময়ে (২০২২ মিনি নিলামের আগে) সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। নিলামের আগে কাকে রাখব আর কাকে ছেড়ে দেব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও সহজ কাজ ছিল না।’