“হাতে বেশি অর্থ এলে অহংকার চলে আসে” রোহিত কোহলিদের টার্গেট করে বি’স্ফোরক কপিল দেব!

প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ এলে মনে অহঙ্কার চলে আসে। এমন কথাই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন কপিল দেব (Kapil Dev)। ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ভারতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কপিল বলেছেন, ‘ভারতের অনেক ক্রিকেটারকে দেখেছি তারা ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থ হলেও প্রাক্তনদের থেকে পরামর্শ নিতে চায় না। আমাদের সামনে সুনীল গাভাসকারের (Sunil Gavaskar) মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। যাঁর ৫০ বছরের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা, তাঁর থেকে পরামর্শ নিতে কিসের ইগো সমস্যা।’ এই ধরনের মানসিকতাই পিছিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় তারকাদের।

কপিল দেব আরও বলেন, ‘অনেক সময় বেশি টাকা এলে অহংকারও সঙ্গে আসে। এই ক্রিকেটাররা মনে করেন তারা সবই জানেন। আমি বলব এটাই হল আসল পার্থক্য। আমি মনে করি দলে অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাদের সাহায্যের খুব দরকার। সুনীল গাভাসকর যখন সেখানে আছেন, তখন আপনি কেন তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন না? ইগোটা কোথায়? এখানে তো ইগো থাকার কোনও কথাই নয়। তারা হয়তো মনে করেন যে তারা সব জানে। হয়তো তাঁরা ভালো হতেই পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত সাহায্য পেলে ক্ষতি কিসের, তাও যদি সেটা ৫০ বছর ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই, আর যখন তিনি সবটা জানেন। কারোর কথা শুনলে আপনার চিন্তাভাবনা বদলে যেতেই পারে।’

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে হারের পরে সুনীল গাভাসকার প্রথম বলেছিলেন, ‘ভারতের বর্তমান ব্যাটসম্যানরা তাঁর কাছে কোনওদিন পরামর্শ নিতে আসেনি। অথচ আগে সেওয়াগ, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণরা সবসময় আমাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে।’কপিল সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, এই যুগের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস আছে, যেটা ভাল বিষয়। তবে এও ঠিক, কারও থেকে জানার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি আপনাকে সহায়তা করতেই পারে।’  

কপিল দেব বেশ রাগতস্বরেই বলেছেন, ‘অনেক সময় বেশি টাকা এলে অহঙ্কার চলে আসে। ভারতের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। এই ক্রিকেটাররা মনে করেন তারা সবই জানেন, তারা হয়তো মনে করেন যে তারা সব জানে। কিন্তু অতিরিক্ত সাহায্য পেলে ক্ষতি কিসের? কারও কথা শুনলে আপনার চিন্তাভাবনা বদলে যেতেই পারে।’

দ্য উইককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কপিল দেব বলেছেন, ‘পার্থক্য আসে, কিন্তু ভালো ব্যাপার হল এই খেলোয়াড়রা সবই জানে। আর কীভাবে বলবো জানি না। তবে তাঁরা বেশ আত্মবিশ্বাসী, তবে তাঁরা অনুভব করেন যে তাদের কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না। আমরা সকলেই বিশ্বাস করি যে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি আপনাকে সাহায্য করতেই পারে।’