‘ওর বয়স আর ২১ নয়’,গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে বিরাটকে তুলোধোনা উথাপ্পা-কুম্বলের

গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলার পর বিরাট কোহলিকে তুলোধোনা করলেন রবিন উথাপ্পা এবং অনিল কুম্বলে। সোমবার লখনউ সুপার জায়েন্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের শেষে বিরাটের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারই। কুম্বলে কিছুটা রাখঢাক করে বলেন, ‘মাঠে যাই হোক না কেন, ম্যাচের পরে হাত মেলাতে হবে।’ তবে উথাপ্পা কোনওরকম ‘পলিটিক্যাল কারেক্ট’ বিষয় বজায় রাখার পথে হাঁটেননি। একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেন, বিরাটের বয়স এখন আর ২১ নয় যে ওরকম আচরণ করবেন।

বিরাট খেলার অন্যতম বড় সমর্থক হলেও প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মাঠে যে আচরণ ও আগ্রাসী সেলিব্রেশন করেন, সেটার একেবারেই সমর্থন করেন না তিনি।সোমবার জিয়ো সিনেমার অনুষ্ঠানে উথাপ্পা বলেন, ‘আমি বিরাট কোহলির অন্যতম বড় সমর্থক। কিন্তু ও যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে, সেটার একেবারেই সমর্থক নই আমি।’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, বিরাটের বয়স এখন আর ২১ নয়। যিনি কিনা ওরকম আগ্রাসী সেলিব্রেশন করবেন। বিরাট এখন পরিণত ক্রিকেটার। তাঁকে দেখে কোটি-কোটি তরুণ ক্রিকেটার অনুপ্রাণিত হন, উদ্বুদ্ধ হন।

```

বিরাটের এরকম আগ্রাসী আচরণে যে ওই তরুণদের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, তা সোজাসুজি বলেন উথাপ্পা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিরাটের সঙ্গে যখন গম্ভীরের ঝামেলা হয়েছিল, তখন উত্থাপ্পা কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) গৌতমের সঙ্গেই খেলতেন।একইসুরে ওই অনুষ্ঠানে কুম্বলে বলেন, ‘যে কোনও ম্যাচে আবেগের বিচ্ছুরণ নয়। কিন্তু এখানে সেইসব আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে চায় না খেলোয়াড়রা।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাঠের মধ্যে যাই হোক না কেন, বিপক্ষকে সম্মান জানাতে হবে। খেলাটাকে সম্মান জানতে হবে। মাঠে যাই হোক না কেন, ম্যাচের পর হাত মেলাতে হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতীয় দলে বিরাটের সঙ্গে কাজ করেছেন কুম্বলে। কিন্তু অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে ‘ঝামেলা’-র ছেড়ে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।সোমবার লখনউ যে মুহূর্ত থেকে ব্যাঙ্গালোরের ১২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে, তখন থেকেই বিরাটের আগ্রাসনের বিস্ফোরণ ঘটে। প্রতিটি উইকেটের পর সেই আগ্রাসনের মাত্রা যেন বাড়ছিল। চূড়ান্ত আগ্রাসনের সঙ্গে সেলিব্রেশন করছিলেন। তারইমধ্যে প্রথম লেগে শেষ বলে ব্যাঙ্গালোরকে এক উইকেটে হারানোর পর গৌতম যেভাবে মুখে আঙুল দিয়ে চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারিকে চুপ করিয়েছিলেন, সোমবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে সেটাই করেন বিরাট। তবে তাতে আপাতভাবে কোনও সমস্যা হয়নি।

```

সমস্যার সূত্রপাত হয় ম্যাচের শেষলগ্নে। আফগানিস্তানের নবীন-উল-হকের সঙ্গে বিরাটের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। যে ঝামেলা ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হাত মেলানোর সময়ও গড়ায়। পরবর্তীতে সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন গম্ভীরও। বিরাট এবং গম্ভীর তো একে অপরের দিকে তেড়ে যান। শেষপর্যন্ত তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান দুই দলের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা।