গুজরাট এবং লখনৌ এর বিরুদ্ধে আজকে আইপিএলের যে ম্যাচ হয়েছে সেখানে রীতিমতো উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছিল। দুই দল এর মধ্যে খেলা শুরু হবার পর থেকেই দর্শকদের বিন্দুমাত্র খেলাটি দেখার প্রতি মন ছিল না।। কারণ ম্যাচে চার ছক্কা সেভাবে হয়নি বললেই চলে, রীতিমতো টেস্ট খেলা চলছিল। প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট রীতিমতো টেস্ট খেলে ১৩৫ রান করে, তার জবাবে ব্যাট করতে নেমে কে এল রাহুল তিনিও টেস্ট খেলা শুরু করে দেন কিন্তু হঠাৎ করে ম্যাচের মোড় এমন ভাবে ঘুরে গেল কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
ঋদ্ধিমান সাহার ৩৭ বলে ৪৭ এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার 50 বলে ৬৭ রানের দৌলতে গুজরাটের দল কোনো রকমে ১৩৫ রানে গিয়ে পৌঁছায়, শুভমান গিল, বিজয় শংকর, রাহুল তেভাটিয়া, ডেভিড মিলার, এতসব নামিদামি ব্যাটসম্যান থাকতেও কারোর ব্যাট থেকেই রান আসেনি। মাত্র 135 রানের বান্ডিল হয়ে যাবার পর রীতিমত এই ম্যাচটি সহজে জেতার স্বপ্ন দেখে লখনৌ, রাহুল এবং মেয়ারস এর দুরন্ত পার্টনারশিপ লখনৌর জয়কে আরো সহজ করে তোলে। কুনাল পান্ডিয়া এসে 23 রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন কিন্তু তার সত্বেও হঠাৎ করে লখনৌ এই ম্যাচে হেরে যায় যা রীতিমতো অবাস্তব একটি বিষয়।
একটা সময় বলে বলে রানের দরকার ছিল হাতে উইকেট ছিল আটটি, এরকম মুহূর্তে একটি ওভারেই বদলে যায় পুরো খেলা। প্রথমত জানাই যে টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলার একজন সুপারহিরো কে এল রাহুল ওপেনিং থেকে ব্যাট করা সত্ত্বেও মাত্র ১৩৬ রান তারা করতে নেমে ম্যাচটিকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যায়, সেখানে গিয়ে দরকার ছিল বারো রানের, ব্যাট করছিলেন রাহুল এবং আয়ুস বাদোনী, অথচ সেই ওভারে ৪টি উইকেট পড়ে বোলিং করছিলেন ধোনির সেই পুরনো হাতিয়ার মোহিত শর্মা। তিন বছর পর আইপিএলের প্রত্যাবর্তন করে রীতিমতো জাদুগরি বোলিং করতে দেখা যায় মোহিত শর্মা কে।
ছয় বলে দরকার ছিল ১২ রান এবং প্রথম বলে দু রান নেন অধিনায়ক রাহুল, পাঁচ বলে দশ রানের দরকার এবং সেই বলে রাহুলকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেয় মোহিত শর্মা, পরবর্তী বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মার্কাস স্টইনিস। পরের বলগুলিতে মোহিত দুর্দান্তই ইয়ার্কার করেন এবং রান জোর জবস্তি নিতে গিয়ে দীপক হুডা এবং তারপরে আয়ুশ বাদনী রান আউট হয়ে যায়।
এইভাবে রীতিমতো হারতে বসা ম্যাচ গুজরাটের দল জয়লাভ করে এবং শেষ ওভারে মাত্র চার রান দিয়ে পার করে দেন আইপিএলে তিন বছর পর প্রত্যাবর্তন করতে থাকা মোহিত শর্মা।