ওড়িশার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ হেরে গেলেও ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলা ঘুরে দাঁড়াবে এমনটা জানাই ছিল। বিশেষজ্ঞদের আন্দাজ ভুল প্রমাণ হতে দিলেন না বাংলার ক্রিকেটাররা। টস জিতে ঝাড়খন্ডকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিল বাংলা। বাংলার ফাস্ট বোলারদের দাপট সামলানো সহজ হবে না বোঝা যাচ্ছিল সকাল থেকেই।
মাত্র ১২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ঝাড়খন্ড। দুটো উইকেটই নেন আকাশ দীপ। এরপর আকাশ ঘটক ফিরিয়ে দেন বিরাট সিং কে। অনুকুল রায় ফিরে যান মুকেশ কুমারের বলে। ঝাড়খণ্ড মিডল অর্ডার আজ পুরোপুরি ব্যর্থ। বাংলার দুই ফাস্ট বোলার আকাশ এবং মুকেশ চার এবং তিনটি করে উইকেট নেন। এই দুজনই ঝাড়খন্ড ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দিলেন।
একটি উইকেট নিয়েছেন ঈশান পোড়েল। মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্যের হয়ে একমাত্র লড়াই করেন কুমার সুরজ। বাউন্ডারি এবং ছক্কা ছাড়া ৮৯ করেন তিনি। উল্লেখ্য গতবারও ঝাড়খণ্ডকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছিল বাংলা। একাধিক ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাতে অবশ্য বাংলা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
তবে এবার কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা এবং অধিনায়ক অভিমুন্য ঈশ্বরন আশাবাদী অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে বাংলা। ব্যাটিং বিভাগে অনুষ্টুপ, অভিমুন্য, মনোজ এবং সুদীপের দিকে তাকিয়ে বাংলা। এদের মধ্যে একজন বড় স্কোর করতে পারলে বাংলার সেমিফাইনালে ওঠা আটকাবে না।
অলরাউন্ডার হিসেবে শাহবাজ আহমেদ অন্যতম ভরসার নাম। শেষ কয়েক বছরের নিজেকে অনেক উন্নত করেছেন। আরসিবি এবং ভারতীয় দলেও জায়গা পেয়েছেন। শাহবাজ জানেন বাংলা দলে তার গুরুত্ব কতটা।