বিখ্যাত বাবর আজম জিরো (০),শ্রীলঙ্কার কাছে ল্যাজে গোবরে হয়ে লজ্জাজনক অবস্থা পাকিস্তানের!

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে একেবারে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে লঙ্কা ব্রিগেডের করা ৩১২ রানের জবাবে, বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনে লাগাতার উইকেট হারিয়ে রীতিমত চরম চাপের মধ্যে পড়ে যায়। বাবর আজম চূড়ান্ত ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কার বোলার প্রভাত জয়সূর্যের দাপটের মাঝে পড়ে রীতিমত সম্মান নিয়ে টানাটানি পাকিস্তানের।বিখ্যাত বাবর আজম চরম ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কার থেকে এখনো অনেক রানে পিছিয়ে পাকিস্তান, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২৪২। ধনঞ্জয় ডি’সিলভা অপরাজিত ছিলেন ৯৪ রানে। সোমবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডি’সিলভা। ৩টি ছয় এবং ১০টি চারের সাহায্যে ১৭৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ডি’সিলভা। তবে এদিন তাঁকে সঙ্গত করার মতো সেভাবে কাউকে পাননি। সঙ্গে কাউকে পেলে হয়তো তিনি নিজেও আউট হতেন না এবং শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে আরও রান যোগ হতে পারত। ধনঞ্জয় ডি’সিলভা ২১৪ বলে ১২২ করে আউট হয়ে যান। সেঞ্চুরি থেকে ২২ রান যোগ করতে গিয়ে আরও ২টি চার মারেন ধনঞ্জয়। তিনি যখন আউট হন, তখন দলের রান ছিল ২৮৩। তবে এগারো নম্বরে নেমে বিশ্ব ফার্নান্দো শ্রীলঙ্কাকে তিনশো রানের গণ্ডি পার করান। ২৮ বলে অপরাজিত ২১ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই শ্রীলঙ্কা ৩১২ রান করে।

এছাড়া প্রথম দিন ৬৪ রান করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৩৬ করেছিলেন সাদিরা সমারাবিক্রম। ২৯ করেছিলেন দিমুথ করুণারত্নে। কুশল মেন্ডিস করেছিলেন ১২ রান। এঁদের বাইরে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাননি। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আব্রার আহমেদ। ১ উইকেট নিয়েছেন আগা সলমন। সোমবার আব্রার এবং নাসিম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দলের ৭৩ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে বসে থাকে পাকিস্তান। পাঁচ নম্বর উইকেটটি পড়ে দলের একশো রান পার করার ঠিক পরেই। ১০১ রানের মাথায়।

দলের প্রথম চার ব্য়াটার রীতিমতো হতাশ করেন। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (১৯), ইমাম উল হক (১) চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। তবে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেন দলের অধিনায়ক বাবর আজম। দলের প্রয়োজনের সময়ে ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান করে আউট হন তিনি। তাঁর ছোট্ট ইনিংসে ২টি চারও ছিল। তবে তিনে নেমে শান মাসুদ তাও ৩০ বলে ৩৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। যদিও তিনি ক্রিজে দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এর পর সরফরাজ আহমেদও ১৫ বলে ১৭ করে সাজঘরে ফেরেন। তবে তিনি তিন হাজার টেস্ট রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেন। এদিন ব্যর্থ হলেন সরফরাজ একটি নজির গড়ে ফেলেন। সরফরাজ একা নন, ওপেন করতে নেমে আবদুল্লাহ শফিকও এদিন টেস্ট ক্রিকেটে ব্যক্তিগত ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।তবে ষষ্ঠ উইকেটে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন শাকিল এবং সলমন। তাঁরা দু’জনে মিলে পল্টি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

দুই তারকাই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। দিনের শেষে ৮৮ বলে ৬৯ করেছেন শাকিল। তাঁর ইনিংস সাজানো রয়েছে ছ’টি চারে। সলমন ৮৪ বলে ৬১ রান করেছেন। তিনি আবার ৬টি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৫ উইকেটে ২২১ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন জয়সূর্য। ১৬ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাসুন রজিথা এবং রমেশ মেন্ডিস।