কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের পারফর্ম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। ফের ভারতের টেস্ট স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে দলীপ ট্রফিকে কামব্যাকের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে দলীপের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত শতরান করে নিজের ফর্ম প্রমাণ করলেন পূজারা। খড়কুটো আঁকড়ে ভেসে থাকতে চাওয়া চেতেশ্বর বুঝিয়ে দিলেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।আলুরের বাইশগজে ব্যাট করা নিতান্ত সহজ ছিল না। মধ্যাঞ্চলের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে পৃথ্বী শ, সরফরাজ খনের মতো তরুণ তুর্কিরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তবে অভিজ্ঞ পূজারাকে টলানো যায়নি। এখনও পর্যন্ত ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরিটি আসে চেতেশ্বরের ব্যাট থেকেই।
পশ্চিমাঞ্চলের ২২০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছে যে, উভয় দলের প্রথম ইনিংসে বোলাররাই একতরফা দাপট দেখান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে শিবম মাভি ইনিংসে ৬ উইকেট নেন। পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে আর্জান নাগওয়াসওয়ালা নেন ৫ উইকেট।এমন পরিস্থিতিতে ৯২ রানের লিড হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে পশ্চিমাঞ্চল। তারা দ্বিতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। পূজারা ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে পশ্চিমাঞ্চল একপ্রান্ত দিয়ে উইকেট হারাতে থাকলেও পূজারা সাবলিলভাবে রান সংগ্রহ করেন। তিনি ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১৯ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে এটি পূজারার ৬০ নম্বর সেঞ্চুরি। লাঞ্চের বিরতির ঠিক পরেই আসে চেতেশ্বরের শতরান। টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দলের ইনিংসকে যতদূর সম্ভব টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
শেষমেশ ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন পূজারা। ২৭৮ বলের ইনিংসে তিনি ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসেও পূজারা জমাট ব্যাটিং করছিলেন। তবে সেট হয়ে গিয়েও হঠাৎই আউট হয়ে বসেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০২ বলে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন চেতেশ্বর।
চেতেশ্বরের শতরান ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে আগ্রাসী হাফ-সেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ বলে ৫২ রান করে আউট হন। সূর্য প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়েছিলেন।