নিজেদের আধুনিক টি-২০ ক্রিকেটের উপযোগী করে তুলতে প্রথম বল থেকেই চার-ছক্কা হাকানোয় হাত পাকাতে দেখা যায় তরুণ ক্রিকেটারদের। প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররাও প্রয়োজন মতো নিজেদের খেলার স্টাইল বদলেছেন। তবে লোকেশ রাহুল সেই পর্যায়ে পড়েন না মোটেও।বরং রাহুল গুটিকয় সেই সব ক্রিকেটারদের দলে, যাঁরা উদ্বাবনী শটে চমক না দেখিয়েও টি-২০ ফর্ম্যাটে বড় রান করতে অভ্যস্ত। সেই কারণেই ইনিংসের শুরু থেকেই ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় না লোকেশকে।
তিনি সেট হতে কিছুটা সময় নেন এবং সেট হয়ে যাওয়ার পরে গিয়ার বদলে দ্রুত রান তোলার দিকে নজর দেন। ইনিংসের শুরুতে বল নষ্ট করার এই প্রবণতাই লোকেশ রাহুলকে এমন এক রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে, যা তাঁকে খুশি করবে না মোটেও। আসলে আইপিএলে সাম্প্রতিক সময়ে বোলারদের ইনিংসের একেবারে প্রথম ওভারে মেডেন দেওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত করেছেন রাহুল।২০১৪ সাল থেকে আইপিএলে ইনিংসের একেবারে প্রথম ওভারে মেডেন নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২৭ বার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লোকেশ রাহুল একাই এমন ১১টি ওভারে কোনও রান সংগ্রহ করেননি। অর্থাৎ, আইপিএলে ১১ বার ইনিংসের প্রথম ওভারের ৬টি করে বল খেলে কোনও রান সংগ্রহ করেননি লোকেশ।
উল্লেখ্য, বুধবার জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৩-এর ম্যাচে টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান রয়্যালস। কাইল মায়ের্সকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল। প্রথম ওভারে স্ট্রাইক নেন লোকেশ। বোলিং শুরু করেন ট্রেন্ট বোল্ট। কিউয়ি তারকার প্রথম ওভারে কোনও রান সংগ্রহ করেননি রাহুল।উল্লেখ্য, লখনউয়ের বিরুদ্ধে বোল্ট ৪ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ১৬ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন। সেই সুবাদে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সব থেকে বেশি মেডেন নেওয়া বোলারদের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে আসেন।
বোল্ট আইপিএল কেরিয়ারে মোট ১১টি মেডেন ওভার নিয়েছেন। আইপিএলে সব থেকে বেশি ১৪টি মেডেন ওভার নিয়েছেন প্রবীণ কুমার। ভুবনেশ্বর কুমার রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ভুবি নিজের আইপিএল কেরিয়ারে মোট ১২টি মেডেন ওভার নিয়েছেন।
ইরফান পাঠান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে মোট ১০টি মেডেন ওভার নিয়েছেন। বুধবার তাঁকে টপকে যান বোল্ট। লসিথ মালিঙ্গা, জসপ্রীত বুমরাহ, সন্দীপ শর্মা ও ধাওয়াল কুলকার্নি আইপিএলে মোট ৮টি করে মেডেন নিয়েছেন।