‘প্রথম’ ম্যাচেই সেরার পুরস্কার, সরল হাসি নিয়ে রিঙ্কু যা বললেন… স্যালুট নেটিজেনদের

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে ভারতীয় দল। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য পারফরমেন্স করতে দেখা গেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের, ফলস্বরূপ ম্যাচ ও সিরিজ জিতেছে ভারত। তখন আন্দাজ করা যায়নি, ম্যাচের সেরা কে হতে পারেন। ভারতের হয়ে অর্ধশতরান করেছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। আয়ার্ল্যান্ডের হয়ে ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস অ্যান্ড্রু বলবির্নির। বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট। মনে করা হয়েছিল, এই তিন জনের মধ্যেই কাউকে সেরা বেছে নেওয়া হতে পারে। তবে সবথেকে অনবদ্য পারফরমেন্সটি এসেছিল রিংকু সিং এর কাছ থেকে তাই ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার জিতে নিলেন রিঙ্কু সিং।

কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমেছিলেন। ব্যাটার রিঙ্কুর কাছে অবশ্য ‘প্রথম’ ম্যাচ। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং পাননি। এ দিন সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগালেন। তাঁর মধ্যে যে সেরা ফিনিশার হয়ে ওঠার রসদ রয়েছে, আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। শেষ দিকে ২১ বলে ৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। দুটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারিও মেরেছেন। তেমনই ফিল্ডিংয়েও অনবদ্য। ম্যাচের সেরা রিঙ্কুর মুখে সেই পরিচিত সরল হাসি। ম্যাচের সেরার মন্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সকলেই। তাঁর ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়েছে। হিন্দি থেকে ইংরেজিতে তর্জমার জন্য ক্যাপ্টেন জসপ্রীত বুমরাকে পাশে পেলেন রিঙ্কু।

```

নিজের অনুভূতি প্রসঙ্গে রিঙ্কু বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আইপিএলের সমস্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলাম। নজর ছিল, ইনিংসরে শেষ দিক অবধি ব্যাট করা।’ শুধু কথায় নয়, সত্যিই কাজেও করে দেখিয়েছেন রিঙ্কু। ক্রিজে নামেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে। শেষ ওভারে এক বল বাকি থাকতে বড় শট খেলার চেষ্টায় আউট হন রিঙ্কু।ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে অনুভূতি কেমন? রিঙ্কু বলেন, ‘দশ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। পরিশ্রমের ফল পেলাম। প্রথম ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতে ভালো লাগছে। আসলে গত ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায় ছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই প্রথম ইনিংস। সেরা হয়ে ভালো লাগছে।’

পুরস্কার বিতরণে সঞ্চালনা করছিলেন অ্যালান উইলকিন্স। রিঙ্কুর কাছে জানতে চান, ক্যাপ্টেনের সব কথা শোনেন কিনা। প্রশ্ন শুনে বুমরাও হাসি চাপতে পারেননি। রিঙ্কুকে এই প্রশ্ন হিন্দিতে বললেও উত্তরটা দিলেন বুমরাই। ‘ও খুব ভালো বাচ্চা। সব কথা শোনে, ‘ বলেন ক্যাপ্টেন বুমরা।

```

সব মিলিয়ে রিংকু সিংয়ের এই অনবদ্য পারফরমেন্সে খুশি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা কারণ যে ফিনিশারের খোঁজ ভারতীয় দল বিগত একটা লম্বা সময় ধরে করছিল তাকে পাওয়া গেছে বলেই মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।