রোহিত শর্মার ২৬৪ রানের রেকর্ড ভেঙে ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ভারতীয় ব্যাটার!

বিশ্বরেকর্ড করলেন তামিলনাড়ুর ব্যাটার নারায়ণ জগদীশন।রোহিত শর্মার বিখ্যাত ২৬৪ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। যা রীতিমত শোরগোল ফেলেছে। ভারতের ঘরোয়া এক দিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিজয় হজারে ট্রফিতে ২৭৭ রান করলেন তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বের যাবতীয় এক দিনের ম্যাচে (ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক) এক ইনিংসে এত রান আর কারও নেই।সোমবার বিজয় হজারে ট্রফিতে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে মাত্র ১৪১ বলে ২৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন জগদীশন। তার দলের রান হলো 506 রান, 2 উইকেটের বিনিময়ে। তিনি একাই মেরেছেন ২৫টি চার ও ১৫টি ছক্কা।

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ২০০২ সালে সারের হয়ে গ্লামোরগনের বিরুদ্ধে এডি নামক এক প্লেয়ার ১৬০ বলে ২৬৮ রান করেছিলেন তিনি, এতদিন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ ছিল তবে এবার নতুন নাম্বার ওয়ান হলেন ভারতের ক্রিকেটার নারায়ণ জগদিশন। তিন নম্বরে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।২০১৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৭৩ বলে ২৬৪ রান করেছিলেন রোহিত। তবে যদি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বলা হয় তবে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোহিতের ইনিংসটি এক ইনিংসে করা সর্বাধিক রান। পাশাপাশি এই তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন ডার্সি শর্ট। ২০১৮ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৮ বলে ২৫৭ রান করেছিলেন তিনি।

```

প্রথম পাঁচে আরও এক জন ভারতীয় ব্যাটার রয়েছেন। ২০১৩ সালে ভারত এ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে ১৫০ বলে ২৪৮ রান করেছিলেন ভারতের বাঁ হাতি ব্যাটার।অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন জগদীশন। ওপেনিংয়েই সাই সুদর্শনের সঙ্গে ৪১৬ রানের জুটি বাঁধেন তিনি। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন জগদীশন। অরুণাচলের কোনও বোলারই তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি।

মাঠের চারদিকে বড় শট খেলছিলেন জগদীশন। শতরান করার পরে রানের গতি আরও বেড়ে যায়। ১৯৬৪৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন জগদীশন।ইনিংসের ৪২তম ওভারে চেতন আনন্দের বলে আউট হয়ে যান জগদীশন। নইলে ৩০০ রান করার সুযোগ ছিল তাঁর। দলের অপর ওপেনার সুদর্শনও শতরান করেছেন। ১০২ বলে ১৫৪ রান করেছেন তিনি।

```

কিন্তু জগদীশনের ব্যাটিংয়ের কাছে সেই ইনিংসকেও মন্থর মনে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান করেছে তামিলনাড়ু। শেষ দিকে রানের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়। নইলে আরও বেশি রান করতে পারত তারা।