‘বিয়ের মিথ্যে প্রতশ্রুতি দেওয়া উচিত না, একজন মহিলারও না: সুপ্রিম কোর্ট

বিবাহিত সম্পর্কে ধর্ষণ বলে কিছু হয়? সে স্বামী যতই অত্যাচারী হোক না কেন! একটি মামলায় অভিযোগকারীকে এমনই প্রশ্ন করে বসলেন Supreme Court-এর বিচারপতি। এক মহিলা পুলিসের কাছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। যদিও সেই ব্যক্তি তাঁর স্বামী কি না তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই মহিলা দাবি করেছেন, বিনয় প্রতাপ সিং নামের ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর বিয়ের আগেই তাঁদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। যদিও শেষমেশ বিনয় প্রতাপ সিং তাঁকে প্রতিশ্রুতি বিয়ে করেননি। উল্টে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি

মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। Allahabad High Court বিনয় প্রতাপ সিংকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরই ওই ব্যক্তি Supreme Court-এ পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন। সেই মামলার শুনানির সময় Supreme Court-এর প্রধান বিচারপতি SA Bobde ও বিচারক AS Bopanna এবং V Ramasubramanian-এর বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, দুজন মানুষ বিবাহিত সম্পর্কে থাকলে শারীরিক সম্পর্ক হলে সেটা কি ধর্ষণ বলে বিবেচিত হতে পারে! তা স্বামী যতই অত্যাচারী হোক না কেন! সেই মহিলা দাবি করেছেন, বিনয় প্রতাপ সিংয়ের অত্যাচারে তিনি একাধিকবার আহত হয়েছিলেন। এমনকী তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়।

```

সেই মহিলার দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছেন। প্রথমে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হননি। তার পর বিনয় প্রতাপ তাঁকে মানালির একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন বলেও দাবি করেছেন ওই মহিলা। যদিও বিনয় প্রতাপ সেসব অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে যা হয়েছে সবই দুজনের মতানুসারে। জোর করে তিনি কখনওই ওই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেননি। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ অবশ্য বলেছে, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি কারও দেওয়া উচিত নয়। একজন মহিলারও নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। কারণ প্রতিটা শারীরিক সম্পর্ক মানেই ধর্ষণ নয়। ওই মহিলার আইনজীবী এদিন দাবি করেন, দিনের পর দিন বিনয় প্রতাপ তাঁর মক্কেলের উপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন। তিনি মেডিকেল রেকর্ডও জমা দিয়েছেন। সব কিছু বিচার করে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত বিনয় প্রতাপ সিংয়ের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।