ডমিনিকায় আয়োজিত প্রথম টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টিম ইন্ডিয়া এক ইনিংস এবং ১৪১ রানে পরাস্ত করেছে। এই জয়ের পাশাপাশি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু, তারা ১৫০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যায়। এর জবাবে ভারত প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৪২১ রান করেছিল। প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়া ২৭১ রানে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা আরও একবার হতাশ করলেন। গোটা দল মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে গেল।
যশস্বী জয়সওয়ালের ১৭১ রান এবং বিরাট কোহলির ৭৬ রানের সাহায্যে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচের তৃতীয়দিন ৪২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। ভারতের কাছে ২৭১ রানের লিড ছিল। ভারতের হয়ে জয়সওয়াল ৩৮৭ বলে ১৭১ রান করেছেন। অন্যদিকে কোহলি ১৮২ বলে ৭৬ রান করেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করেছিল।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই যশস্বী জয়সওয়াল ব্যক্তিগত ১৫০ রান করে ফেলেন। ডেবিউ ম্যাচে তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি ১৫০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ইতিপূর্বে শিখর ধাওয়ান (১৮৬) এবং রোহিত শর্মা (১৭৭) এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। জয়সওয়াল ১৭১ রান করে আউট হন। রাহানে মাত্র ৩ রান করতে পারেন। বিরাট কোহলি ৭৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন।
এরপর শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং। উইকেটে যেভাবে বল ঘুরছিল, তাতে যে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের ব্যাট করা অতটাও সহজ হবে না, তা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা একবাক্যে স্বীকার করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিকড় উপড়ে দিয়েছেন। এছাড়া জোড়া উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
যদিও এই ম্যাচে যশস্বী জয়সওয়ালের হাতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেন, ‘আমি নির্বাচকদের এবং রোহিত ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তাঁরা আমার উপরে আস্থা রেখেছেন। আমাকে নিজের মতো করে ব্যাট করার স্বাধীনতা গিয়েছেন। ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা সবসময়ই একটা স্পেশাল মোমেন্ট। ছোটবেলা থেকেই আমি সবসময় দেশের হয়ে খেলার কথা ভাবতাম। এটা আমার কাছে একটা আবেগঘণ মুহূর্ত। তবে এই সবে যাত্রা শুরু করলাম।’