চোখে দেখতে পায় না রেল চাকরি দেই নি,কঠোর পরিশ্রমে হলেন প্রথম অন্ধ IAS অফিসার

চোখ আমাদের শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যে অন্ধ সেই বুঝতে পারে এই অমূল্য অঙ্গ কতটা মূল্যবান। IAS ভারতের সবথেকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম আর একজন নেত্রহীন ব্যক্তির IAS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া অবাক করেছে সকলকেই । প্রাঞ্জল এর পরিশ্রম আর একাগ্রতার কথা ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয়। আজ যার কাহানী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি তিনি হলেন আমাদের দেশের প্রথম নেত্রহীন IAS অধিকারী প্রাঞ্জল যিনি মাত্র ৬ বছর বয়সে তার দৃষ্টি হারান। বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী এই IAS বা পরিষ্কার করে বললে UPSC পরিক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারে না। সফলতার হার খুব কম আর এদিকে প্রাঞ্জল এর তো চোখই নেই।

মহারাষ্ট্র রাজ্যের ছোট্ট একটি শহর উল্লাস নগর সেখানে থাকতো প্রাঞ্জল । জন্ম থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি বেশ কিছুটা দুর্বল ছিল এবং ছয় বছর বয়সে তার দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপেই চলে যায়। কিন্তু যার অদম্য সাহস আর ইচ্ছা তাকে কি আর আটকানো যায় ? হাল ছাড়েননি তিনি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পলিটিক্যাল সাইন্সে গ্রাজুয়েশন করেন। JNU থেকে তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেন আর তারপর Mphil এবং Phd, আর তারপরে সিদ্ধান্ত নেন তিনি সিভিল সার্ভিস এ যাবেন অর্থাৎ UPSC দেবেন, ভাবতেও অবাক লাগে যে পরীক্ষাতে লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলেমেয়ে প্রত্যেক বছর চেষ্টা করলেও মাত্র কয়েকজন সুযোগ পায় সেই পরীক্ষাতে একজন অন্ধ মেয়ে হয়ে প্রথমবারের চেষ্টাতেই সারা ভারতবর্ষে 773 rank করেন। কিন্তু তার দৃষ্টি শক্তি দুর্বল হওয়ার কারণে Indian Railways Accounts committee থেকে তাকে reject করা হয়।

IRAC তে রিজেক্ট করলেও সে ভেঙে পড়ে নি, Postal and Telecommunications Department তে তাকে একটা চাকরি দেওয়া হয় যেটা তার যোগ্যতার তুলনায় কম ছিল। কিন্তু সেখানে থেমে থাকার পাত্রী তিনি নন। 2017 সালে আবার তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে UPSC দেন, আর এবারে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এবং সে যেটা চেয়েছিল সেটা সে পেয়ে যায়, অর্থাৎ এবারে সারা ভারতে তার rank হয় 124 এবং এবারে তাকে IAS হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে নি। কঠোর পরিশ্রম এবং মানসিকতা দিয়ে সে তার স্বপ্নকে পূরণ করেন। তার এই অদম্য উৎসাহ এবং কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটিজেনরা।

যে স্বাভাবিকভাবে পড়তে পারে না চোখের সমস্যার জন্য, কোনো কোচিং যে নেই নি, শুধুমাত্র একটি software যা যেকোনো বইকে পড়ে দিত, সেটা শুনে শুনে পড়তে হতো তাকে, তার এই পরিশ্রম আর অদম্য মানসিকতাকে সেলুট জানাচ্ছে নেটিজেনরা। বর্তমানে কেরালার তিরুবন্তপুরম এ কর্মরত রয়েছেন প্রাঞ্জল।