মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আবারও দ্রুত গতিতে বল করে সকলকে চমকে দিয়েছেন ভারতের তরুণ পেসার উমরান মালিক। এবারের উমরানের সেই গতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতারও। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৫৫ কিলোমিটার বেগে ডেলিভারি করেন উমরান মালিক। নিজের ঝোড়ো গতির বলে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছিলেন উমরান। এটি ছিল এই ম্যাচের দ্রুততম বলও।
এর সঙ্গে ভারতের হয়ে দ্রুততম বল নিক্ষেপের বিচারে জসপ্রীত বুমরাহের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন উমরান মালিক। এখন পর্যন্ত বুমরাহর দ্রুততম বল ঘণ্টায় ১৫৩.৩৬ কিলোমিটার গতিতে ছিল।উমরান মালিকের এই গতি দেখার পর এখন ভারতের দ্রুততম বোলারকে নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে। ভারত সহ বিদেশের ক্রিকেটাররাও উমরান মালিকের প্রশংসা করছেন এবং পরামর্শও দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্রুততম বল করার রেকর্ডের অধিকারী শোয়েব আখতারও উমরান মালিককে নিয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন।
স্পোর্টসকিডার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় শোয়েব আখতার বলেন, ‘আমি খুশি হব যে সে আমার রেকর্ড ভাঙ্গবে, কিন্তু আমার রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে না সে নিজের হাড় ভেঙে ফেলেন। আমি বলতে চাই যে তাঁর ফিট থাকা উচিত।’ আসলে ১৬১ কিমি বেগের দ্রুততম বল করার কীর্তি রয়েছে শোয়েব আখতারের নামে।সম্প্রতি, যখন উমরানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়) দ্রুততম বল করার শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙতে চান?
এই বিষয়ে, জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেটার নিউজ ২৪-এ বলেছিলেন যে, ‘এই মুহূর্তে আমি কেবল দেশের জন্য ভালো করার কথা ভাবছি। যদি আমি ভালো করি এবং যদি আমি ভাগ্যবান হই, আমি তা ভেঙে দেব। কিন্তু আমি এটা নিয়ে মোটেও ভাবি না।’ উমরান মালিকের দ্রুত গতিকে প্রায়ই পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতারের সঙ্গে তুলনা করা হয়।আসুন আমরা আপনাকে বলি যে টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ফাস্ট বোলার উমরান মালিক ২০২২ সালে তাঁর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলে একটি ভালো বছর কাটিয়েছিলেন।
ডানহাতি পেসার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২২ মরশুমে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন। এরপরে তিনি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় পুরুষদের দলে প্রথম ডাক পান। তারপর থেকে উমরান মালিক ভারতের হয়ে ৫টি ওডিআই এবং ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। উমরান মালিক ওয়ানডেতে ৭টি উইকেট এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন।