ম্যাকালামের প্রথম সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় KKR ব্যাটার হিসেবে ইতিহাস ভেঙ্কটেশ আইয়ারের!

ওপেনিং ব্য়র্থতা অব্যহত কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গত মরসুম থেকেই থেকেই এমনটা চলছে। যার জেরে চাপ পড়ছে মিডল অর্ডারে। গত মরসুম থেকে ৯টি ওপেনিং জুটি দেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র এক বারই ৫০ রানের জুটি হয়েছিল। ওপেনিং জুটি বদল এবং ব্য়র্থতা জারি এ মরসুমেও। রহমানুল্লা গুরবাজ এক দিকে, উল্টোদিকে কখনও মনদীপ, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নারায়ণ জগদীশন। সাফল্য আসেনি এক ম্য়াচেও। গুরবাজ প্রথম তিন ম্য়াচে ভরসা দিলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ব্য়র্থ।

এ মরসুমে তিন ম্য়াচে ওপেন করেন নারায়ণ জগদীশন। এখনও দু-অঙ্কের স্কোরে পৌঁছতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ভরসা দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। অথচ তাঁকে কেন নিয়মিত ওপেন করানো হচ্ছে না, টিম ম্য়ানেজমেন্টের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চোট নিয়ে আরও একটা অনবদ্য ইনিংস ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। মরসুমের প্রথম ম্য়াচে ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয়েছে ভেঙ্কটেশকে। ৩৪ রানের ইমপ্য়াক্টফুল ইনিংসই খেলেন সেই ম্য়াচে। কিন্তু ব্য়াটিং অর্ডারে নিশ্চিত কোনও পজিশন না থাকায় কিছুটা যেন সমস্য়ায় পড়ছেন।

ঘরের মাঠে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধে মাত্র ৩ রান ভেঙ্কটেশের। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্য়াচে শেষ ওভারে রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। রিঙ্কুর সেই কারনামা যেমন মনে রাখার মতো, ভুললে চলবে না ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। ঘরের মাঠে গত ম্য়াচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১০ রানেই থামেন ভেঙ্কটেশ।

নিয়মিত খেললে তিনি যে কলকাতা টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্য়র্থতা ঢেকে দিতে পারেন, আরও এক বার প্রমাণ করলেন ভেঙ্কটেশ।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১১টি অর্ধশতরান থাকলেও শতরানের ঝুলি শূন্য় ছিল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ক্যামেরন গ্রিনের বোলিংয়ে স্কুপ খেলার চেষ্টায় হাঁটুতে চোট পান।

ম্য়াজিক স্প্রে নিয়ে ব্য়াটিং চালিয়ে যান। মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছান। দৌঁড়তে সমস্য়ায় পড়ছিলেন। তাতেও অবশ্য় সিঙ্গল নেওয়া ছাড়েননি। সঙ্গে চার-ছয়ের মার তো রয়েইছে। ৪৯ বলে শতরান পূর্ণ করলেন ভেঙ্কটেশ।