ICC বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল,অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা

ভারত শেষ বার আইসিসি ট্রফি জিতেছে প্রায় এক দশক পার হয়ে গিয়েছে। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ের পর থেকে ভারত আর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য পায়নি। তবে চলতি বছরে ভারতের সামনে খরা কাটানোর বড় সুযোগ রয়েছে। এই বছরের শেষের ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যে কারণে অধিনায়ক রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।

ভারত ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে বারবার হতাশই করেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে যেখানে তারা পাঁচটি আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলেছে এবং তারা সেই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও পৌঁছেওছিল। তবে তীরে এসে তরী ডোবে। মহেন্দ্র সিং ধোনিই একমাত্র অধিনায়ক, যাঁর নেতৃত্বে ভারত টি-টোয়েন্টি এবং ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ভারতকে দিয়েছেন।

তবে তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৪ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও, শ্রীলঙ্কার কাছে ছয় উইকেটে হেরে যায়। এর পরে তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই বছরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে এবং ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই বছরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল।

বিরাট কোহলি তার পর অধিনায়কের দায়িত্ব নেন এবং ভারত ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে বসে। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টিম ইন্ডিয়া। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত চূড়ান্ত হতাশ করে। তারা গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যায়। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক ভাবে হারে। ইংল্যান্ডই গত বার চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং, যিনি ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, তিনি আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যর্থতার কারণ বর্ণণা করতে গিয়ে বলেছেন, ভারত তাদের স্কোয়াডে খেলোয়াড়দের খুব বেশি পরিবর্তন করে। যে কারণে টিম দুর্বল হয়ে পড়ে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ‘২০১৮-১৯ সালে আমরা দেখেছি যে, খেলোয়াড়দের প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে। দীনেশ কার্তিক খেলছিলেন, ঋষভ পন্তও খেলছিলেন… তবে কী ভাবে বড় ম্যাচ জেতা যায়, সেই অভিজ্ঞতার কিছুটা হলেও অভাব ছিল। বড় ম্যাচগুলো সব সময়েই খুব বেশি চাপের হয়। বিশ্বকাপের চাপ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের থেকে আলাদা। টুর্নামেন্ট যত বড় হবে, চাপ তত বেশি। খুব কম লোকই আসলে এই ধরনের চাপ নিতে পারে।’